আইনি মর্যাদা পেল দাওরায়ে হাদিসের সনদ
বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর
রাষ্ট্রীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনি মর্যাদা পেল কওমি সনদ। ফলে এক নতুন দিগন্তে যাত্রা করলো ধর্মভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কওমি মাদরাসা। কওমির সর্বোচ্চস্তর দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদানের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন। এখন আইন হিসাবে গেজেট প্রকাশের পালা।
সংসদে পাশ হওয়া বিলে আজ (৮ অক্টোবর) স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। একইদিন আরও ছয়টি বিলে স্বাক্ষর করেন তিনি। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই সংসদে পাশ হওয়া বিল আইন হিসেবে স্বীকৃত হয়।
‘আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধীনে কওমী মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান বিল-২০১৮’ ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে আইন হিসেবে পাশ হয়।
স্বাক্ষর করা অন্য বিলগুলো হলো- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিল-২০১৮, সড়ক পরিবহন আইন বিল-২০১৮, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন বিল ২০১৮, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) আইন বিল- ২০১৮, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন বিল-২০১৮ ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন বিল-২০১৮।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসা সনদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসরাম নাহিদ। স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাশের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
১৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ১০ সেপ্টেম্বর সংসদের ২২তম অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করা হয়। ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।