পদ্মায় ঘুষ কেলেঙ্কারি : কানাডায় অভিযুক্ত হলেন আবুল হাসান

Padmaপদ্মাসেতুর ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিতে ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। এমন অভিযোগ এনেই প্রতিবেদন দিয়েছে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)।
সেই সঙ্গে কানাডিয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক কর্মকর্তা কেভিন ওয়ালস (৪৬), রমেশ শাহ (৬২), মোহাম্মদ ইসমাইল (৫০) ও কানাডীয় নাগরিক জুলফিকার আলী ভুইয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
কানাডার ‘ফরেন ব্রাইবারি ল’ অনুযায়ী তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে গত মঙ্গলবার কেভিন ওয়ালেসকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেয়ার শর্তে তাকে বুধবার জামিন দেয়া হয়।
কানাডার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বুধবার তাদের অনলাইন সংস্করণে এ সংবাদ প্রকাশ করে। এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে কানাডা পুলিশ।
আরসিএমপি এক বিবৃতিতে বলেছে, পদ্মাসেতু নির্মাণে পরামর্শ ও তদারকির কাজ পাওয়ার জন্য ঘুষ কেলেঙ্কারির বিষয়টি তদন্ত করে আবুল হাসান চৌধুরী, কেভিন ওয়ালস, রমেশ শাহ, মোহাম্মদ ইসমাইল ও জুলফিকার আলী ভুইয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরসিএমপির সহকারী কমিশনার গিলেস মিচাউড জানান, কিছু দেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন স্বাভাবিকভাবে নেয়া হয়। অথচ এ ঘুষ লেনদেনে নৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। সেই সঙ্গে দেশের সুশাসন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার পরিবেশকে বিঘ্নিত করে। তবে এ অভিযোগপত্রে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসোনের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, পরামর্শক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পদ্মাসেতু প্রকল্পে ১২০ কোটি ডলার অর্থায়ন বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক। পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ছাড়াও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) অর্থায়ান করার কথা ছিল। তবে বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এরপর বাংলাদেশ সরকার নিজেস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button