সদস্য পদ নিয়ে ইউরোপকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে
১৯৬৩ সালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আর এখন চলছে ২০১৮ সাল। সদস্যপদ প্রত্যাশী আর কোনো দেশের বিষয়ে এমনটা হয়নি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের সদস্য পদ নিয়ে সংস্থাটিকে এখইন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে আর সময় নষ্ট করার অবকাশ নেই। ইউরোপকে স্পষ্ট করতে হবে তারা আসলে কী চায়? হাঙ্গেরি সফররত এরদোগান বুদাপেস্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ‘১৯৬৩ সালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আর এখন চলছে ২০১৮ সাল। সদস্যপদ প্রত্যাশী আর কোনো দেশের বিষয়ে এমনটা হয়নি।’
গত এক দশকে তুরস্কের সাথে ইউরোপের সাথে সম্পর্কের অনেক অবনতি হয়েছে। ইইউ বারবারই তুরস্কের সদস্যপদ লাভের বিষয়টি পিছিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য কূটনৈতিক বিষয় নিয়েও চলছে টানাপোড়েন। বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে তুরস্কের সম্পর্ক বৃদ্ধির পর থেকেই ক্ষুব্ধ ইউরোপ। এরদোগান সরকারের সংস্কার কর্মসূচি নিয়েও ইউরোপের রয়েছে অনীহা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় পক্ষই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে। তুর্কি ও ইইউ কর্মকর্তাদের অনেকে ইতিবাচক বক্তৃতা দিচ্ছেন দুই পক্ষের সম্পর্কের বিষয়ে। উভয় পক্ষই সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চায়।
তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ লাভের বিষয়টিতে আর অপেক্ষা করতে চান না। তিনি স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এ বিষয়ে ইউরোপকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা তুরস্ককে নেবে কি না।
যৌথ ওই সংবাদ সম্মেলনে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, ‘হাঙ্গেরি তুরস্কের সদস্য পদ লাভের বিষয়টিতে সব সময়ই সমর্থন দিয়ে আসছে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী চাই। তুরস্কের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের পন্থা খুঁজতে হবে। এখন আমরা যা করছি তা ন্যায় সঙ্গত নয়।’
তুরস্কের সদস্যপদ লাভের বিষয়ে হাঙ্গেরির সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে এরদোগান বলেন, এই সমর্থন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।