আইফোন ৫এস ও ৫সি বিক্রি শুরু
বিশ্বের ১১ টি দেশে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আইফোন ৫এস ও ৫সি বিক্রি শুরু করেছে অ্যাপল। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, জাপান, পুয়ের্তো রিকো, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা সর্বপ্রথম আইফোনের নতুন মডেল হাতে পাচ্ছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১০০টির বেশি দেশের ২৭০টি মোবাইল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আইফোন বিক্রি করবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আইফোন বিক্রির প্রথম দিনে কতোগুলো প্রি-অর্ডারকৃত আইফোন সরবরাহ করা হচ্ছে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। অবশ্য বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, বাজারে আনার প্রথম সপ্তাহে ২৫ লাখ ইউনিট আইফোন ৫এস ও ৩০ লাখ ইউনিট আইফোন৫সি বিক্রি হতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় কুপারটিনো শহরে ১০ সেপ্টেম্বর আইফোন ৫এস ও ৫সি নামের দুটি মডেলের আইফোনের ঘোষণা দিয়েছিল অ্যাপল।
আইফোন ৫এস
অ্যালুমিনিয়ামের কাঠামোর আইফোন ৫এসে রয়েছে দ্রুতগতির এ৭ প্রসেসর। অ্যাপলের দাবি, এ প্রসেসর দ্রুতগতিতে অ্যাপ্লিকেশন চালানো ও গ্রাফিকস-সংক্রান্ত কাজে সুবিধা দেবে। আইফোনের এ সংস্করণে ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকছে। এতে ব্যবহূত ক্যামেরা সেন্সরটি আইফোন ৫-এর তুলনায় ১৫ শতাংশ বড়। আইওএস ৭ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর আইফোন ৫এস থ্রিজি নেটওয়ার্কে ১০ ঘণ্টা টকটাইম-সুবিধা দিতে সক্ষম হবে। এতে যুক্ত হয়েছে টাচ আইডি সেন্সর, যা ফিংগার প্রিন্ট শনাক্ত করতে পারে। ১৬ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার আইফোন ৫এস মডেলের দাম ৬৪৯ মার্কিন ডলার।
আইফোন ৫সি
৫সি মডেলটি ৫এসের তুলনায় সাশ্রয়ী। পলিকার্বনেট বা শক্ত প্লাস্টিকের তৈরি আইফোন ৫সির ৩২ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার মডেলটির দাম ৫৪৯ মার্কিন ডলার। আইফোন ৫সিতে রয়েছে চার ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে, এ৬ প্রসেসর, ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ফোরজি, ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই সমর্থন করবে এ স্মার্টফোন।