এরদোগান-সউদী বাদশাহ ফোনালাপ
দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষমতা কারও নেই
সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। রাষ্ট্রীয় সউদী বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত রোববার দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে আলাপচারিতা সম্পন্ন হয়েছে। জামাল খাশোগি গত সপ্তাহে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের সউদী কনস্যুলেটে প্রবেশের পর আর বের হননি। সউদী আরব অবশ্য বলছে, খাশোগি কনস্যুলেট ভবন থেকে বের হয়ে গেছেন। তবে তুরস্কের পক্ষ থেকে এর প্রমাণ চাওয়া হলে তা সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে রিয়াদ।
তুরস্কের দাবি, তাদের তদন্তকারীদের হাতে নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তুরস্কে আসা ১৫ সদস্যের একটি সউদী দল এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আঙ্কারার। টেলিফোনালাপে খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনে সম্মত হওয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান সউদী বাদশাহ সালমান। আঙ্কারার সঙ্গে রিয়াদের সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি।
সউদী বাদশাহ ফোনালাপে বলেন, দুই দেশের ভাতৃপ্রতীম সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষমতা কারও নেই। খাশোগি এক সময় সউদী সরকারের উপদেষ্টা থাকলেও এক পর্যায়ে সরকারের নানা কাজের সমালোচনা করা শুরু করেন এবং ২০১৭ সাল থেকে তিনি আমেরিকায় স্বেচ্ছা-নির্বাসনে চলে যান। সেখানে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।