ব্রিটেনে বেকারত্বের হার কমছে
ব্রিটেনে বেকারত্বের হার ক্রমশ: হ্রাস পাচ্ছে। গত মে-জুলাই মাসে বেকারত্ব শতকরা ৭.৭ ভাগে নেমে এসেছে। এর আগের তিন মাসে সেটা ছিলো শতকরা ৭.৮ ভাগ। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর মার্ক কার্নি বলেছেন, উক্ত তিন মাসে ২৫ লাখে বেকারত্ব কমেছে ২৪০০০।
এক সরকারী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চাকুরী প্রার্থী লোকজনের ভাতা দাবী প্রায় ১৫ লাখের মধ্যে ৩২৬০০ হ্রাস পেয়েছে। ২০০৯ সালের ফেব্র“য়ারী থেকে এটা সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
যা-ই হোক, খন্ডকালীন কর্মজীবীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৫০ হাজার-এ উন্নীত হয়েছেÑযা ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ এবং গত ৫ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ। এদের এক তৃতীয়াংশ পুরুষ পার্ট টাইম অর্থাৎ খন্ডকালীন কাজ করছে কারণ তারা পূর্ণ সময়কালীন চাকুরী পায়নি। নারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা শতকরা ১৩.৫ ভাগ। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, বেকারত্ব শতকরা ৭ ভাগে নেমে না আসা পর্যন্ত তারা সুদের হার বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করবে না। এছাড়া দেখা গেছে গত ১ বছর কিংবা এর চেয়েও বেশীসময় ধরে যারা বেকার, এমন দীর্ঘ মেয়াদী বেকারত্ব হ্রাস পায়নি।
নবীনদের বেকারত্ব কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাকুরীর বাজারে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জনের জন্য বিশেষভাবে বেকারত্ব শতকরা ৭ ভাগে নামিয়ে আনার জন্য টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। ইনভেস্টেক-এর ভিক্টোরিয়া ক্লার্ক বেকারত্ব হ্রাস প্রসঙ্গে বলেন, এটা প্রধান তিনটি মূল সূচকের ইতিবাচক লক্ষণ সম্বলিত চাকুরীর বাজারে একটি তাৎপর্যবাহী অংক।
এতে এটাই বুঝা যায় যে, চাকুরীর বাজার ক্রমশ: সংকট কাটিয়ে উঠছে। অনেকটা বৃহত্তর অর্থনীতির ন্যায়। এতে এই ধারণা আরো জোরদার হয়ে উঠেছে যে, বেকারত্ব ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। মার্ক কার্ণে’র মতে, প্রত্যাশিত বেকারত্ব শতকরা ৭ ভাগে নেমে আসতে কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। এই সংখ্যা প্রকাশের পর ইওরো ও ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত জুলাই মাসে চাকুরী অনুসন্ধানকারীদের ভাতা দাবি নিম্নগামী লক্ষ্য করা গেছে। জুলাই ও আগষ্ট মাসে বেকারত্ব কমেছে ৬৮৯০০ যা ১৯৯৭ সাল এ পর্যন্ত দু’মাস সময়ে সর্বোচ্চ হ্রাস।
মে ও জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিলো সর্বোচ্চ (১০.৪%) এবং সবচেয়ে কম (৫.৮%) ছিলো দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে।