সিডনিতে উপনির্বাচনে হেরে
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো অস্ট্রেলিয়ার সরকার
উপনির্বাচনে সিডনির একটি আসনে হেরে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন জোট। আজ শনিবার ওয়েন্টওয়র্থের আসনে ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ডেভ শর্মাকে সহজেই পরাজিত করেন স্থানীয় ডাক্তার কেরিন ফেলপ্স। তিনি স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল পদত্যাগ করার পর ওই আসনে উপনির্বাচন আয়োজন করা হয়। একটি মাত্র আসনের ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় ওই আসনে জয়ী হতে মরিয়া ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের লেবার পার্টি।
অস্ট্রেলিয়ায় গত আট বছরে ছয়জন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্ষমতাসীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় সেখানে আবারও রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
আস্থা ভোটে টিকে থাকার জন্য ডানপন্থী লিবারেল পার্টিকে স্বাধীন প্রার্থীদের ভোটের উপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু এদের মধ্যে দু’জন ইতিমধ্যেই মরিসনকে সমর্থন না করার ঘোষণা দিয়েছেন, জানায় বিবিসি।
লিবারেল প্রার্থী ডেভ শর্মার কার্যালয় থেকে মরিসন বলেন, এটা তাদের জন্য একটা ‘কঠিন দিন’ ছিল। নির্বাচনের ফলাফলও তাদের কাছে ‘অপ্রত্যাশিত ছিল না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসির ফিল মার্কার জানান, ওয়েন্টওয়র্থের মানুষ টার্নবুলকে নির্দয়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করাকে বিশ্বাসঘাতকতা এবং দলের ত্রুটি হিসেবে দেখেছে এবং ভোটে তার প্রতিফলন ঘটেছে।
উপনির্বাচনের আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরের কথা ভাবছেন বলে জানান। লিবারেল প্রার্থী ডেভ শর্মা ইসরাইলে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
ইহুদিপ্রধান ওয়েন্টওয়র্থের আসনে জয়ী হওয়ার আশায় মরসিন এমন বক্তব্য দেন বলে মন্তব্য করে সমালোচকরা।
অন্যদিকে কেরি ফেলপ্স বলেছেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।