সউদী বাদশাহর আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ নেই
খাসোগির পরিবারকে রাজপ্রাসাদে স্বাগত জানালেন বাদশাহ ও যুবরাজ
সাংবাদিক জামাল খাসোগির নিহত হওয়ার ঘটনায় সত্য উদঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সউদী বাদশা সালমানের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের পার্লামেন্টে বক্তৃতায় এ কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
এদিকে রিয়াদের রাজপ্রাসাদে খাসোগির পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছেন সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আলে সঊদ। দেশটির সরকারী বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সউদী বাদশাহর প্রাসাদে এই সাক্ষাতকালে খাসোগির ছেলে সালাহ ও তার ভাই সাহেলের কাছে তার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন বাদশাহ ও যুবরাজ।
ওদিকে সত্য উদঘাটনে সউদী আরবের সাথে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করে এরদোগান বলেছেন, খাসোগি হত্যার পরিকল্পনা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। হত্যাকান্ড নিশ্চিত করে সউদী কর্তৃপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এখন তাদের উচিত হত্যাকান্ডে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা। তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়ে প্রতিটি মনেই নানান প্রশ্ন জেগেছে, কেন ইস্তাম্বুলে একইদিনে ১৫ সউদী নাগরিক জড়ো হয়েছিল, কেন তারা এমন অপরাধ সংঘটন করেছে, কে বা কারা তাদেরকে মদদ দিয়েছে এসবই আমাদের জানতে হবে।”
ঘটনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সউদী আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ী করেনি তুরস্ক। তবে তুর্কি তদন্তকারীরা দাবি করে আসছেন, তাদের কাছে অডিও ও ভিডিও তথ্য আছে, যাতে প্রমাণ হয় কনস্যুলেটের ভেতরে সউদী এজেন্টদের একটি দল খাসোগিকে হত্যা করছে। তালাক সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহে গিয়ে সউদী আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক খাসোগি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সউদী কনস্যুলেটে প্রবেশ করে নিহত হন। সউদী সরকার ওই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যে দেশটির ১৮ জন নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বলে সরকারী বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।