নির্বাচন ১৮ ডিসেম্বর, তফসিল ৪ নভেম্বর
এবার ১০ কোটি ৪১ লাখের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আদলে এবারো তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার কমিশন সচিবের দফতর থেকে একটি চিঠি বাংলাদেশ টেলিভিশনকে (বিটিভি) পাঠানো হয়েছে বলে ইসির নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সমন্বয় শাখার যুগ্ম সচিব নিশ্চিত করেছেন।
বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন উর রশীদ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়ে থাকলে এসেছে। তবে এখনো আমি হাতে পাইনি। তবে আগামীকাল (আজ বুধবার) হাতে পেতে পারি। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে বলে জানান বিটিভির ডিজি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির একজন যুগ্ম সচিব বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করা হবে এর জন্য বিটিভিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো নুরুল হুদা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন; যার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সরকারি ওই সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা বেশি বলে জানান ওই কর্মকর্তা। কারণ দশম জাতীয় সংসদের তফসিল ওই প্রক্রিয়ায় ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, এ চিঠি নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। এটা ইতিবাচক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রথমে ২৭ ডিসেম্বর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আগাম এই তথ্য বলে দেওয়ায় দু-একদিন আগ-পিছ করে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ ঘনীভূত হতে থাকলে সরকার সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ কারণে ভোটগ্রহণের সময় কিছুটা এগিয়ে এনে ১৮ ডিসেম্বর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারণ দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বরের দিনটি বিশেষভাবে জড়িত। এটি বাঙালির বিজয় অর্জনের দিন। যার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জড়িত। তাই ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ ওই দিনের পর দিন ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ তফসিল বিষয়ে সাক্ষাৎ করবেন কমিশন।
উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের ২৮ জানুয়ারি মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর চলতি অধিবেশন শেষে গঠন হবে নির্বাচনকালীন সরকার। এবার ১০ কোটি ৪১ লাখের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।