শুরু হলো ফোল্ডএবল স্মার্টফোনের যুগ
‘বিশ্বের প্রথম ভাঁজযোগ্য বা ফোল্ডএবল ফোন’ বানাচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্টার্ট-আপ রয়ওলে। নমনীয় ডিসপ্লে তৈরিতে বিশেষজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান চীনের বেইজিংয়ে ফ্লেক্সপাই নামের নতুন একটি হ্যান্ডসেট উন্মোচন করেছে। বিডিনিউজ
এই ডিভাইসে ৭৮ ইঞ্চির একটি স্ক্রিন রয়েছে, যা বাজারে প্রচলিত অনেক ট্যাবলেট স্ক্রিনের চেয়ে বড়। তবে ভাঁজ করা হলে স্ক্রিনটি তিনটি ছোট স্ক্রিনে ভাগ হয়ে যায়- সামনে একটি, পেছনে একটি ও সামনে পেছনে ভাঁজের মাঝখানে একটি।
ছয় বছর আগে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১ নবেম্বর থেকেই চীনে এই পণ্য বিক্রি শুরু হবে। এই ফোনের দাম রাখা হবে ৮,৯৯৯ ইউয়ান থেকে ১২,৯৯৯ ইউয়ানের মধ্যে, ডলারের হিসেবে অংকটা ১২৯০ থেকে ১৮৬৩-এর মধ্যে হবে। একই দিনে বিশ্বব্যাপী ডেভেলপারদের জন্য ডিভাইসটির কিছুটা ভিন্ন সংস্করণ ছাড়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিসেম্বরের শেষে এই ফোন সরবরাহ শুরু আশা করছে রয়ওলে।
হঠাৎ নতুন এই ডিভাইস এসে স্মার্টফোন খাতের অনেক পর্যবেক্ষকেরই চোখ কপালে উঠিয়ে দিয়েছে। প্রথম ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বাজারে আনার কৃতিত্বটা স্যামসাং বা হুয়াওয়ে নেবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল এতদিন। আসছে ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রানসিসকো-তে নিজেদের ইভেন্টে স্যামসাং এমন ডিভাইস প্রদর্শন করবে বলেও প্রত্যাশা ছিল। জানুয়ারিতে সিইএস ট্রেড শো-তে এলজি এমন ডিভাইস আনবে বলে ধারণা করেছিলেন ভেঞ্চারবিট প্রতিবেদক ইভান ব্লাস। কিন্তু স্মার্টফোন জায়ান্টদের তাক লাগিয়ে প্রথম ফোল্ডএবল স্মার্টফোন আনার কৃতিত্ব নিলো এই স্টার্ট-আপ।
ফ্লেক্সপাই নিয়ে নির্মাতাদের দেখানো ভিডিও দেখে বোঝা যায়, এতে অ্যান্ড্রয়েডের যে ‘ওয়াটারওএস’ সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কিছু কাজ করা প্রয়োজন– এমনটাই বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
সেট করার আগে এই হ্যান্ডসেটের ডিসপ্লেকে এক মোড থেকে অন্য মোডে নেওয়ার পর তা বিভিন্ন দিকে ঘুরানো যায়।
এই ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের মাথায় রাখা উচিৎ যে এর ভর ৩২০ গ্রাম, আইফোন এস ম্যাক্স বা গ্যালাক্সি নোট ৯-এর তুলনায় পার্থক্যটা ৫০ শতাংশেরও বেশি।
রয়ওলে’র দাবি, ফ্লেক্সপাইয়ের স্ক্রিন দুই লাখ বার খোলা ও বন্ধ করার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে অনেক বছরেও এটি ঠিকঠাক ব্যবহার করা যেতে পারে।