তিউনিশিয়ার মেয়েদের ‘জিহাদের’ নেপথ্যে ইসলামবিরোধী অপশক্তি !
চলতি বছরের শুরুতে কিছু সৌদি ওহাবি মুফতি ফতোয়া দিয়েছিলেন যে, সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের সেবা দেয়ার জন্য মুসলিম মেয়ে ও নারীরা যেন সিরিয়া যান।
খবরে জানানো হয়, বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের এই সেবা দেয়াকে এসব মুফতি ‘যৌন জিহাদ’ বলে উল্লেখ করেন।
ওহাবি মুফতিদের এ ফতোয়ার ফাঁদে পড়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশের শত শত সরল নারী সিরিয়া যান এবং বিদ্রোহীদের যৌন সেবায় নিজেদেরকে সমর্পণ করেন। বিয়ে বহির্ভূত এমন যৌনতার শিকার হয়ে সেবসব মেয়েরা এখন গর্ভবতী হয়ে দেশে ফিরে আসছে। তিউনিশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোতফি বিন জেদ্দো দেশটির জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে গত ১৩ এপ্রিল দেশটির সাবেক প্রধান মুফতি শেখ ওসমান বাত্তিক জানিয়েছিলেন, প্রতারণার শিকার হয়ে ১৩টি মেয়ে সিরিয়ায় বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদেরকে ‘যৌন সেবা’ দিতে গেছে। তিনি সে সময় কথিত এ ‘যৌন জিহাদ’কে পরিষ্কার ভাষায় পতিতাবৃত্তি বলে উল্লেখ করেছিলেন।
সম্প্রতি গণমাধমে এ সংবাদ প্রকাশিত হলে অনলাইন এক্টিভিটিসরা এ নিয়ে বিতর্কের ঝর তোলেন। শরীয়তসম্মত বিয়ে না করে পরপুরুষের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার বিরোধীতা করায় সংশ্লিষ্ট মিডিয়াগুলোকে ইহুদিদের দালাল আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
জানা যায় যে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৬,০০০ তরুণ-তরুণীকে সিরিয়া যেতে বাধা দিয়েছে এবং সিরিয়ায় কথিত জিহাদি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সন্দেহে ৮৬ জনকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোতফি বিন জেদ্দো কিছু মানবাধিকার সংস্থারও সমালোচনা করে বলেন, সিরিয়ায় যেতে বাধা দেয়ায় এসব মানবাধিকার সংস্থা তিউনিশিয়া সরকারের সমালোচনা করেছে।
সূত্রে জানায়, যে সব মানবাধিকার সংস্থা এ জিহাদের পক্ষে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে ইতিপূর্বে ইসলাম বিরোধী নানা কর্মকান্ডে তারা প্রকাশ্য ভূমিকা নিয়েছে। সূত্রটি দাবী করছে, ইসলাম বিরোধী জেনেই এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকান্ডে প্ররোচনা দিতে সংস্থাগুলো উৎসাহ দেখাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ এ প্রতিবেদককে বলেন, ইসলামে জিহাদ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে তিউনিশিয়ার মেয়েরা যেটা করেছে সেটা ইসলামে কখনো বৈধ হতে পারেনা। এটা ইসলাম বিরোধী চক্রান্তেরই অংশ। তাছাড়া মেয়েরা এক দেশ থেকে আরেক দেশে পরপুরুষের সাথে জিহাদে যাবে, এটা ইসলাম সম্মত নয়।