‘জামায়াত চাইলে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে’
চাইলে নিবন্ধিত অন্য কোন দলের প্রতীক বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে জামায়তে ইসলামের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু জামায়াত নয়, অনিবন্ধিত যেকোনও দলের নেতরা একই সুযোগ পাবে। তবে কোনও দলের প্রতীকে ভোট করতে হলে সংশ্লিষ্ট দলের মনোনয়নের প্রয়োজন হবে। সম্প্রতি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, নিবন্ধিত দল চাইলে অনিবন্ধিত দলের সদস্যদের তাদের প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারবে।
দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সংশ্লিষ্ট দলের ন্যূনতম তিন বছর সদস্য থাকার বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ থেকে ২০১৩ সালে তুলে দেওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্তমানে বিভিন্ন জোটের অনিবন্ধিত দলগুলোর পরিচিত নেতারা বড় কোনও দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।
অনিবন্ধিত কোনও দলের নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার আইন নেই উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যদি কোনও অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীকে নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেয়, তাহলে তো আমরা বাধা দিতে পারবো না।’
অনিবন্ধিত বা বাতিল হওয়া কোনও দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে তা আটকানোর কোনও আইন নেই বলে সচিব উল্লেখ করেন।
জোটগত নির্বাচনে অংশ নিতে হলে ইসিকে অবহিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। আজই (শুক্রবার) দলগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে।’
নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে না। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আগাম প্রচার সরিয়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’