ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ মন্ত্রী জো জনসনের পদত্যাগ
ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের পরিবহন মন্ত্রী জো জনসন। তিনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের ভাই। ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটে তিনি রিমেইন বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তার ভাই বরিস জনসন ছিলেন এর বিপরীত মেরুতে।
জো জনসন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে যে সমঝোতা চলছে তা হতে পারে ভয়াবহ এক ভুল পদক্ষেপ। তিনি যুক্তি দেখান যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন চরম সংকটের দ্বারপ্রান্তে ছিল। ব্রেক্সিট নিয়ে যেসব প্রস্তাব এসেছে তা প্রতিশ্রুতির সঙ্গে যায় না। পদত্যাগের পর জো জনসনের প্রশংসা করেছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট।
তবে জো জনসন নতুন যে গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করে আনার বিষয়ে খসড়া চুক্তি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রীসভাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।
তিনি জানিয়েছেন, ইইউ-এর সঙ্গে চুক্তি প্রায় ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্তে কড়াকড়ি বিষয়ে এখনও কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে সমর্থন করে ডিইউপি। তারা শুক্রবার বলেছে, যুক্তরাজ্য থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডকে যদি আলাদাভাবে দেখা হয় তাহলে এমন চুক্তিকে তারা সমর্থন করবে না।
ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে জো জনসন বলেন, ‘সুয়েজ ক্রাইসিসে’র পর দেশে এত বড় সংকট আর তৈরি হয়নি। এটা বৃটিশ সরকারের ব্যর্থতা।
ব্রেক্সিট নিয়ে সত্য উন্মোচন করে তিনি আরো বলেন, সরকারের একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা গণভোটের প্রচারণাকালে তিনি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন সেগুলো পুরোটাই ব্যতিক্রম দেখতে পেয়েছেন। তাই সরকারের সঙ্গে থাকার পরিবর্তে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন।