আগুন নেভাতে বিশ্বের বৃহত্তম সুপার ট্যাংকার
ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
প্রাণঘাতী ক্যাম্প ফায়ারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৩ জনে। তাছাড়া এ ঘটনায় এখনও কমপক্ষে ২৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য সেন্টিয়ানেল ইকো।
বাড়তে থাকা দাবানল নেভাতে অগ্নি-নির্বাপণ কর্মীদের সাথে যোগ দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উড়ন্ত ট্যাংকার। বিশ্ব জুড়ে আগুন নেভানোর জন্য সুপার ট্যাংকারে রূপান্তরিত এই বোয়িং ৭৪৭ বিমান রোববার সকালে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাবানল নেভানোর কাজে যোগ দেয়। পার্শ্ববর্তী স্যাকরামেন্টো ম্যাকক্লিলান বিমানবন্দর থেকে এসে আরও কয়েকটি বড় এয়ার ট্যাংকার সেখানে ‘রেড রেটারডেন্ট’ (আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক) ফেলছে।
উত্তরাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার শতাব্দীর সেরা দাবানল প্রসঙ্গে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে দ্য সেন্টিয়ানাল ইকো জানায়, ভয়াবহ এ দাবানলের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজারের অধিক বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দাবানল এলাকায় বাতাসের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এতে হতাহতের সংখ্যা সামনে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর জেরি ব্রাউন।
আর তাই এ ঘটনাকে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন এক বড় ধরনের বিপর্যয় ঘোষণা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। এই দাবানলের ঘটনাটি যদি বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে ঘোষিত হয়, তাহলে রাজ্যটিতে জরুরি সহায়তার পরিমাণ সামনে আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে প্রাকৃতিক এ বিপর্যয়টি সামাল দেওয়া কিছুটা হলেও সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৩৩ সালে দেশটিতে আঘাত হানা এক দাবানলে একসঙ্গে অন্তত ৩১ জন লোকের প্রাণহানি হয়। সে সময় একসঙ্গে এতো লোকের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া।