মন্ত্রীদের পদত্যাগে চটেছেন থেরেসা
ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে যথার্থ চুক্তিটি বেছে নিতেই আমার এই শ্রম ও প্রচেষ্টা
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ থেকে ব্রিটেনের বের হওয়া সংক্রান্ত চুক্তি বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। গত বৃহস্পতিবার মে’র ব্রেক্সিট-মন্ত্রীসহ ৬জন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে, মে’র ব্রেক্সিট চূড়ান্ত খসড়া চুক্তিতে বিবেক সমর্থন দিচ্ছে না জানিয়ে পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাব। এর একঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন পেনশনবিষয়ক মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভি।
এরপর একই পথ অনুসরণ করেন জুনিয়র উত্তর আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী শাইলেশ ভারা, জুনিয়র ব্রেক্সিট মন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান ও পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি অ্যানি ম্যারি ট্রিভেলিয়ান ও রনিল জয়াবর্দেনা।
পরবর্তীতে, মে’র কনজারভেটিভ পার্টির কয়েকজন নেতা জানান, তারা মে’র নেতৃত্বের প্রতি তাদের অনাস্থা জানাতে ভোটের আয়োজনে লিখিত চিঠি দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে, ডাওনিং স্ট্রিট বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মে। সেখানে তিনি বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে একটি সফল চুক্তিতে শেষপর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন তিনি।
মে বলেন, ‘আমি বুঝি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ হয়ত এখানে নেই। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমার দেশ ও দেশের জনগণের জন্য সর্বোত্তম বিকল্পটিই বেছে নিতে পারবো। তাই এটুকু নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে যথার্থ চুক্তিটি বেছে নিতেই আমার এই শ্রম ও প্রচেষ্টা।
উল্লেখ্য, মে’র চুক্তিটি মনোনিত হতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ এমপি’র মধ্যে ৩২০জনের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে।
যদিও পরিস্থিতি এখন ৪টি পথে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ১. মে’র খসড়া চুক্তিটিই অনুমোদন পাবে ২. অনাস্থা ভোটে হেরে মে’কে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে ৩. কোনও চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়তে হবে ৪. আবার আরেকটি গণভোট হবে।