যেভাবে সম্পন্ন হবে ব্রেক্সিট
ব্রেক্সিট সঙ্কট থেকে উত্তরণে এগিয়ে এসেছেন ৫ মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রেক্সিট নিয়ে খসড়া চুক্তি উত্থাপন করার পর ১৪ই নভেম্বর তার মন্ত্রীপরিষদ তা অনুমোদন দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫ জন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। এই ৫ মন্ত্রীর গ্রুপে সমন্বয় করবেন হাউস কমন্সের নেতা আন্দ্রেয়া লিডসম। তার সঙ্গে থাকবেন মাইকেল গভ, লিয়াম ফক্স, পেনি মরডন্ট এবং ক্রিস গ্রেলিং। ব্রেক্সিট সঙ্কট থেকে উত্তরণে খসড়া চুক্তি সংশোধন করবেন তারা। তিনি যে খসড়া চুক্তি প্রকাশ করেছেন তার পরিধি ৫৮৫ পৃষ্ঠা। এতে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে ইউরোপিয় ইউনিয়নকে কি পরিমাণ অর্থ দিতে হবে, নাগরিকদের অধিকার কি হবে তার বিস্তারিত রয়েছে। বিবিসি লিখেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এটা প্রকাশ পায় যে, চারজন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খসড়া চুক্তির বিশেষ বিশেষ অংশ পরিবর্তনের কাজ করবেন। বিশেষ করে তারা নজর দেবেন আইরিশ বা উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ে।
২৫ শে নভেম্বর ওই খসড়া চুক্তি অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হবে ইউরোপিয় ইউনিয়নের কারছে। এ নিয়ে এ বছর ডিসেম্বরে বৃটিশ পার্লামেন্টে ভোট হবে। সেই ভোটে যদি সরকার হেরে যায় তাহলে তাদের সামনে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার জন্য একটি পুরো নতুন পরিকল্পনা করতে সময় থাকবে মাত্র ২১ দিন। আর যদি পার্লামেন্টে অনুমোদন হয় খসড়া বিল তাহলে ২০১৯ সালের শুরুতে ইউরোপিয় ইউনিয়ন উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল উত্থাপন করা হবে। যদি সেখানে বিলটি প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে বৃটিশ সরকারের সামনে চারটি উপায় থাকবে। এক. কোনো চুক্তি ছাড়া ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়তে হবে। দুই. নতুন মকরে সমঝোতা শুরু করতে হবে। তিন. জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। চার. গণভোট দিতে হবে। আর যদি ইউরোপিয় ইউনিয়ন উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্ট বিল পাস হয় তাহলে তা পাস করতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট প্রয়োজন হবে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের কমপক্ষে শতকরা ৬৫ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এমন ২০টি দেশের অনুমোদন লাগবে। যখন এসব নিশ্চিত হয়ে যাবে তখন ২০১৯ সালের ২৯ শে মার্চ ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়বে বৃটেন। এ সময়ে শুরু হবে অন্তর্বর্তীকালীন সময়। তা স্থায়ী হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এ সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।