আমাকে বাদ দেয়ার খবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন : মুফতি ফয়জুল্লাহ
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, ‘হেফাজতের নীতি নির্ধারণী দায়িত্ব থেকে মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মাওলানা রুহিকে বাদ দেয়া হয়েছে’ এমন খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাবুনগরে অনুষ্ঠিত হেফাজতের সম্মেলনে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে যে, হেফাজতের পূর্বের কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল আছে। তাতে কোনো ধরনের রদবদল করা হয়নি। তারপরও আওয়ামী সরকারের দালাল চক্র অসৎ উদ্দেশ্যে অপপ্রচারে নেমেছে। সম্মেলন শেষে কোনো ধরনের তথ্য ও ভিত্তি ছাড়াই তারা এ খবর প্রচার করছে।
তিনি বলেন, সম্মেলনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট যে উপকমিটি গঠন করা হয়েছে, তা নতুন সংযোজন। তাতে কারো নাম না থাকলে বাদ পড়ে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? তাহলে তো নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদুল্লাহ্ আশরাফ, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, মুফতি ওয়াক্কাস (বর্তমানে জেলে), মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাওলানা আব্দুর রকিব, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক উলামায়েকেই এ কমিটিতে রাখা হয়নি। তাহলে কি বলা যাবে, এদেরকেও বাদ দেওয়া হয়েছে?
মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেন, হেফাজতের জন্মলগ্ন থেকেই এর আন্দোলন-সংগ্রামে আমি সম্পৃক্ত রয়েছি। আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী তার যে কোনো সাংগঠনিক বিষয়ে আমাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে শরীক রাখেন। মূলত: তাঁর অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়েই সম্প্রতি হেফাজতের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে আমি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমি ও আমার মতো যারা ভূমিকা পালন করেছেন, তারা বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের রোষানলে পড়েন। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করে সরকার। উদ্দেশ্য হাসিলে সরকার ব্যর্থ হয়ে হেফাজতের আন্দোলনে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তিকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে অপপ্রচারে নেমেছে।
আগামীতে হেফাজত ঘোষিত কর্মসূচিগুলো সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানান তিনি।