টেক্সাস সীমান্তে দুই মাসে ৮১ বাংলাদেশি আটক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস সীমান্তে অবৈধ প্রবেশের দায়ে গত দুই মাসে (অক্টোবর-নভেম্বর) ৮১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার পেট্রল গার্ড। ওয়েবভিত্তিক সংবাদপত্র ব্রেইটবার্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৭ নভেম্বর ও ১৮ নভেম্বর টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে অবৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তারা মেক্সিকোর সঙ্গে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে লারেডো সীমান্তবর্তী দুটি প্রত্যন্ত শহরে অবস্থান করছিলেন।
লারেডো সেক্টর বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্টরা নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে কমপক্ষে ৭৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করার কথা জানিয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরের তুলনায় এ বছরের অক্টোবরে এ সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ বেশি। ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানে ২০১৮ অর্থবছর শেষ হয়েছে। এ সময়ে লারেডো সেক্টর এজেন্টরা ৬৬৮ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করেছে। আগের বছরের মোট বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীর তুলনায় এ সংখ্যা শতকরা প্রায় ২৭০ ভাগ বেশি।
ব্রেইটবার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য টেক্সাসের সীমান্তে রয়েছে বিশাল নদী। সেই সীমান্ত একেবারে খোলা। এমন সীমান্ত শত শত মাইলের। এই পথটিকে ব্যবহার করছে অবৈধ অভিবাসীরা। এ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অভিবাসীরা দালালদের দিচ্ছে জনপ্রতি ২৭ হাজার ডলার করে।
বর্ডার পেট্রল কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা দালালকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন দেশ হয়ে বেআইনি পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। এদের সবাই মেক্সিকোর রয়ো গ্রান্ডে নদী সাঁতরে হিল সাবডিভিশন নদী পাড় হয়ে টেক্সাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। এলাকাটি শত শত মাইল উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকা। সেখানে রয়েছে বর্ডার পেট্রল গার্ডের কড়া নজরদারী। তাই প্রায়ই প্রতিদিন সেখানে আটক হচ্ছেন অবৈধ প্রবেশকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা।