মনোনয়ন পেলেন জামায়াতের যে ২৫ নেতা
২০ দলীয় জোটের শরীকরা কে কয়টি আসন পাবে তা নিয়ে শেষ মুহূর্তের আলোচনা চলছে। বিএনপি জানিয়েছে জোট শরীকদের সাথে আসন বন্টন নিয়ে সমঝোতা কাছাকাছি পৌঁছেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-১৫ আসনও রয়েছে। এ আসনে নির্বাচন করবেন জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান। প্রতীকের বিষয়ে দলটির নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান।
মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন: ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আব্দুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আসনে মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, রংপুর-৫ আসনে গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা-১ আসনে মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ আসনে ইকবাল হুসেইন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মতিউর রহমান, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, কক্সবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আজাদ, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম।
যশোর-২ আসনে আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আসনে আবদুল আলিম, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-২ আসনে আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী, সিলেট-৫ আসনে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে হাবিবুর রহমান ও ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুর রহমান।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ অক্টোবর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই দল হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ নেই জামায়াতের। তবে জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কিংবা নিবন্ধিত অন্য কোনো দলের প্রার্থী হয়ে সেই দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনিবন্ধিত কোনো দল নিবন্ধিত কোনো দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে ইসির কিছু করার থাকবে না। এই বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা নেই।