‘ভোট কক্ষের ভিডিও ধারণ অপরাধ’
ভোটের দিন ভোট কক্ষের ভেতরে ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে দাবী করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুল হাসান।
আজ শুক্রবার রাজধানীতে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবী করেন। এ বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্দেশনা দিতেও প্রশিক্ষকদের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা এক স্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারবেন না। পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিসাইডিং অফিসাররা পর্যবেক্ষকদের সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না।
কামরুল হাসান বলেন, ভোট কক্ষে একজন ভোটার প্রবেশ করার পর প্রথমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। ভোটারের নাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় থাকলে ব্যালট পেপারের মুড়িতে তার আঙুলের ছাপ রেখে ভোটারকে ব্যালট পেপার সরবরাহ করতে হবে। এরপর ভোটার ভোটগ্রহণের গোপন কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাসহ অন্য কারোরই প্রবেশ অধিকার থাকবে না। কেবল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভোটারকে সহায়তার জন্য ভোটার তার পছন্দের একজনকে সঙ্গে রাখতে পারবেন।
তিনি বলেন, কেউ জাল ভোট দিলে বা দেয়ার চেষ্টা করলে প্রিসাইডিং বা সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারের প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে নিবৃত্ত করা। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে জাল ভোট প্রদানকারী ব্যক্তিকে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত (জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট) ডেকে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যদি ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকে এবং যদি কেন্দ্র দখলের মত ঘটনা ঘটে কিংবা পুলিশ যদি নিষ্কৃয় ভূমিকা পালন করে তখন সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা কী হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি কামরুল হাসান।