‘জামায়াত নেই, এখন সব ধানের শীষ’
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
নির্বাচনে জামায়াতকে কত আসন ছাড়া হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কেউ জামায়াত নেই। এখন সব ধানের শীষ। জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির ৬১১ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নেতাকর্মীদের নামের তালিকা তুলে ধরেন। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তফসিলের পরে কোনো গ্রেফতার হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা অত্যন্ত পরিষ্কার— এই নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের অবস্থাতে নেই। তারা সরকারের নীল-নকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে।’
এ সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা দিন না সুষ্ঠুভাবে। দেখেন কে কতটা আসন পান। আগেও বলেছি, এখনও বলছি— ৩০টার বেশি আসন পাবেন না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে কি-না তা নির্ভর করবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর। এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুরো জাতিকে তারা সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই কোনো ধরনের সংঘাত হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন— এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটা জিনিসকেই ভয় পান। সেটি হল সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনকে তিনি ভয় পান বলেই নীল-নকশা বাস্তবায়নে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এগুলো করছে।’
শনিবার বা রোববার তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে যাবেন বলেও এ সময় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু ইসি মূলত বর্তমান সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে। তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।