জামায়াতের যে সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেল
২৫ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের মনোনয়ন বৈধ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। তারা বিএনপির সাথে জোটগতভাবে ২৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এই ২৫ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন রিটানিং অফিসাররা।
জোটগতভাবে যে ২৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে আয়কর দাখিল না করার অভিযোগে দিনাজপুর-১ আসনের জোটের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হানিফের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে রংপুর-৫ অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র গ্রহণই করা হয়নি। তবে আজ সোমবার হাইকোর্ট তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের পরে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে যাওয়ায় গোলাম রাব্বানীর মনোয়ন ফরম জমা নেয়নি বলে জানিয়েছিলেন রংপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার।
জোটগতভাবে ধানের শীষ প্রতীকে যে ২৩ আসনে লড়বে জামায়াত: ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান (জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল) কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (এই আসনের সাবেক এমপি) চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম(সাবেক এমপি) কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ(সাবেক এমপি) সিলেট-৫ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, পিরোজপুর-১ আলহাজ্ব শামীম সাঈদী, (আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে), সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, ঠাকুরগাঁও-২ মাওলানা আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মুক্তিযুদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন।
তবে বেশ কয়েকটি আসনে বিএনপির প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জামায়াত আশা করছে যে এই আসনগুলোতে শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিবে।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে যাদের মনোনয়ন বৈধতা পেলো তারা হলেন- পাবনা-১ ব্যারিস্ট্রার নাজিব মোমেন (জামায়াতের সাবেক আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে) পাবনা-৪ অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, জয়পুরহাট-১ ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, বগুড়া-২ অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল, মেহেরপুর-১ তাজউদ্দিন, চট্টগ্রাম-১০ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যশোর-৫ অ্যাভোকেট গাজী এনামুল হক, যশোর-৬ অধ্যাপক মুক্তার আলী, ময়মনসিংহ-৬ অধ্যাপক জসিম উদ্দিন সরকার।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসন দেয়া হয়। এই ২৫ আসন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন। জোটের শরীক বিএনপির সাথে এ নিয়ে এখনো কষাকষি চলছে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জামায়াতকে ৩৮ টি আসন দেয়া হয়েছিল।