মে’র বিরুদ্ধে অনাস্থার হুমকি লেবার পার্টির
১১ ডিসেম্বর হাউজ অব কমন্সে মে’র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিটির ওপর ভোট
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি হাউজ অব কমন্সের ভোটে অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অনাস্থা প্রস্তাব’ উত্থাপনের হুমকি দিয়েছে দেশেটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। শ্যাডো ব্রেক্সিটমন্ত্রী লেবার নেতা কির স্টারমেয়ার বলেন, সেক্ষেত্রে তার দল আগাম জাতীয় নির্বাচন চাইবে।
আগামী ১১ ডিসেম্বর হাউজ অব কমন্সে মে’র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিটির ওপর ভোট হবে। বিরোধী লেবার পার্টিতো আছেই, মে’র নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন এমপিও তার চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এদিকে পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গভ ভোটে মে’র চুক্তি পাস হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে চুক্তি পাস না হলে আরেকটি ইইউ গণভোট হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ভোটে পাশ করা ভীষণ কঠিন হবে। কারণ মে’র চুক্তিটি নিখুত নয়। কিন্তু আমরা এটাও জানি; যদি আমরা তার চুক্তির পক্ষে ভোট না দেই, তবে আমাদের হাতে বিকল্প হল কোনো চুক্তি ছাড়ই ব্রেক্সিট হবে অথবা না।
ব্রেক্সিট চুক্তিতে অনুমোদন না পেলে মে’র প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই না। এ বিষয়ে স্টারমেয়ার বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রী ভোটে হেরে যান তবে সরকারের উপর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। আমার মনে হয় তখন সরকার ভেঙে দেওয়ার দাবি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে এবং আমরা করব। ‘ফিক্সড টার্ম পার্লােমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী যদি ‘অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে’ সরকার হেরে যায় তবে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে আরেকটি ‘আস্থা’ ভোটের আয়োজন করতে হবে। নতুবা পার্লােন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগাম নির্বাচনের ডাক দিতে হবে।