জামায়াত ছাড়া ৩৮ দলকে ইসির চিঠি
কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে ৩৮টি দলের কাছে হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই তথ্য পাঠানোর তাগাদা দিয়ে আজ এসব দলকে চিঠি পাঠাচ্ছে কমিশন সচিবালয়। জামায়াতে ইসলামীকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করায় দলটিকে চিঠি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, চিঠিতে দলগুলোর সর্বশেষ নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি, নিজস্ব অফিস, তাৎক্ষণিক যোগাযোগের মোবাইল ও টেলিফোন নম্বর, দলগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো, নিবন্ধনের শর্তানুযায়ী নিয়মিত কাউন্সিল করা হচ্ছে কি না, মৃত্যু বা বিশেষ কারণে কোনো শূন্য পদের বিপরীতে কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কি না এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ চিঠির জবাব দিতে বলা হয়। ইসির কর্মকর্তা জানান, ২০০৮ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর দলগুলোর সাংগঠনিক অবস্থার কোনো হালনাগাদ চিত্র কমিশনকে দেয়া হয়নি। একই সাথে নিবন্ধনের শর্ত ঠিকভাবে পালন করছে কি না তাও যাচাই করে দেখা হয়নি। এ অবস্থায় বর্তমান নিবন্ধিত দলগুলো কোন অবস্থায় আছে, কেন্দ্রীয় কমিটির অবস্থা কী, সারা দেশে কতগুলো অফিস আছে, উপজেলাপর্যায়ের কমিটিগুলোর অবস্থা কী? এসব জানতে চাওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনের সময় দলের অফিস খুঁজে পাওয়া যায় না। এ জন্য নির্বাচনের আগে সব দলের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। এটা সচিবালয়ের বিষয়। আর এ বিষয়টি ইসি সচিব দেখছেন বলেও জানান তিনি। জামায়াত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আদালত রায় দিয়েছেন। এই মুহূর্তে এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো। এ বিষয়ে কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এ ছাড়া অনেক দিন থেকে দলগুলোর কোনো হালনাগাদ তথ্য কমিশনের কাছে নেই। তাই নির্বাচনের আগে একবার সাংগঠনিক কাঠামো জেনে নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপিসহ বেশ কিছু দল কাউন্সিল না করে কিভাবে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর দেখা গেছে, কমিশন থেকে চিঠি দেয়ার পর দলগুলো কাউন্সিল না করে থাকলে ইসির কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু চলতি বছর বেশ কয়েকটি দল কাউন্সিল না করলেও কেউ সময় চেয়ে আবেদন করেনি। কমিশনের নীরবতার কারণে দলগুলো ইসিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে বলে এ কর্মকর্তা জানান। এ ছাড়া দলের ভেতরে দিন দিন গণতন্ত্র চর্চা হ্রাস পাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য নবম সংসদ নির্বাচন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে নির্বাচন কমিশন।