গরুর গোশত রপ্তানিতে দ্বিতীয় হওয়ার পথে ভারত
সারাদেশে গরু হত্যা নিয়ে রাজনীতি সরগরম থাকলেও ২০১৭ সালে গরুর গোশত রপ্তানিতে বিশ্বে ভারতের অবস্থান ছিল তিনে। তবে ২০১৮ শেষে গরুর গোশত রপ্তানিতে দুই নম্বরে উঠে আসছে দেশটি। শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। এমন তথ্য দিয়েছে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অফ এগ্রিকালচার ডিপাটের্মন্ট’ (ইউএসডি) যদিও এখনো পূণার্ঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম চারে থাকা দেশগুলো হলো ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। এই চারটি দেশ থেকেই গড়ে প্রায় ৬৬ শতাংশ মাংস রপ্তানি হয়। এতে ১৯.৩৩ শতাংশ রপ্তানির হার ধরা হচ্ছে ব্রাজিল থেকে, ১৮.১৪ শতাংশ ভারত থেকে, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ১৫.৩৭ শতাংশ এবং ১৩.১০ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ আসে এই খাত থেকে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ভারতের অবস্থান ছিল তৃতীয়।
জাতিসংঘের ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অগার্নাইজেশন’ ও ‘অগার্নাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন’র রিপোর্ট ঘেঁটে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে এক কোটি ৯৫ লাখ টন গোমাংস রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ শতাংশ রপ্তানি করে ভারত। ভারতের আগে ছিল অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল।
উল্লেখ্য, ভারতের সর্বত্র গরু বিষয়ক বিতর্কে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গরু খাওয়ার কারণে সংঘাত হচ্ছে প্রতিদিন। ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি হাজির করলেও সাধারণভাবে বলা হচ্ছে, মূলত মুসলিম বিরোধী নীতি ও মনোভাবের কারণেই মোদী সরকার গরু বিষয়ক এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার ভিত্তিতে নির্দেশনা জারি করেছে।