ভোট কক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয়
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
আজ শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কমিশন বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। আচরণ বিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষ, সাংবাদিকরা কি কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ, সুবিধা পাবেন তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-ভোট কক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ সম্প্রচার করা যাবে না। ভোট কক্ষের বাইরে লাইভ করা যাবে। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকেদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অসুবিধা নয় হয়। পর্যবেক্ষদের জন্য নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না।’
সিইসি বলেন, ‘ভোটকক্ষের ভেতরে। ঘরের মধ্যে। কেন্দ্র মানে ঘর। শুধু ঘরের মধ্যে। মাঠ নয়। ঘরে মধ্যে থেকে লাইভ করা যাবে না। গোপন কক্ষের ছবি তোলা যাবে না। বিষয়টি পরিষ্কার।’
‘যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, যেখানে পোলিং প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না করে, সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ভোটকক্ষে যদি ৩০-৪০ জন যান, তারা একসঙ্গে গেলে তো কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসার বলবেন কতজন যেতে পারবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপেক্ট থাকতে হবে। তার কথা মানতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মোবাইল ব্যবহারে বাধা নেই। ভোট কক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।’
আচরণ বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায় দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মরকর্তাদের হাতে। এ ছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে, তাদের কাছেও অভিযোগ দেয়া যাবে।’
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে নূরুল হুদা বলেন, ‘সেনাবাহিনী সিআরপিসি অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়নি।’