বিএনপির ইশতেহার ঘোষণা

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ তরুণ প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ‘এগিয়ে যাবো একসাথে, ভোট দেবো ধানের শীষে’- স্লোগানকে সামনে রেখে ‘ভিশন ২০৩০’-এর আলোকে ইশতেহারটি তৈরি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনি ইশতেহার পাঠ করেন। বিএনপির ইশতেহারে গুরুত্বারোপ করা ১৯ দফার অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, যুব নারী ও শিশু, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, জ্বালানি, তথ্য ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ, কৃষি ও শিল্প, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ফান্ড প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ, পররাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ।

ইশতেহার ঘোষণাকালে মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। পাশাপাশি দুই মেয়াদের বেশি একব্যক্তি যাতে প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সমৃদ্ধ। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে। স্বল্প আয়ের পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বল্প সুদে শিক্ষা ঋণ চালু করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শিক্ষার ওপর থেকে সব ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। ভ্যাটবিরোধী, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সব মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত বেকারদের ভাতা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গতকাল নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ‘প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’-স্লোগানে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনাসহ অনেক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়। সব ধরনের প্রতিশ্রুতি সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের মধ্যে পূরণের আশ্বাসও দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

বিএনপির ইশতেহার ঘোষণাকালে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী ও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button