আওয়ামীলীগের ইশতেহার ঘোষণা

আজ মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইশতেহার তুলে ধরেন। ঘোষিত ইশতেহারের স্লোগান হলো ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

একনজরে আওয়ামীলীগের ইশতেহার: গণতন্ত্র, নির্বাচন ও কার্যকর সংসদ, মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, গণমাধ্যম, বিচারবিভাগকে শক্তিশালী করা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষা, দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক নির্মূল, স্থানীয় সরকার: জনগণের ক্ষমতায়ন, সামষ্টিক অর্থনীতি: উচ্চ আয়, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়নে বৃহৎ প্রকল্প (মেগা প্রজেক্ট), ‘আমার গ্রাম – আমার শহর’: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, তরুণ যুবসমাজ: ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাস, কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি: খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে নিশ্চয়তা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিল্প উন্নয়ন, শ্রমিক কল্যাণ ও শ্রমনীতি, শিক্ষার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, যোগাযোগ উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন, সমুদ্র বিজয়: ব্লু-ইকোনমি- উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা, শিশু কল্যাণ, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ কল্যাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, ধর্ম ও সংস্কৃতি, ক্রীড়া উন্নয়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহ, প্রতিরক্ষা: নিরাপত্তা সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সুরক্ষা, পররাষ্ট্র: ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত এই নীতির আলোকে ভারতের সঙ্গে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ সকলক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহাযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে।

এনজিও: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বশাসিতভাবে তাদের নিজস্ব বিধি মোতাবেক পরিচালিত হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান/বিভাগ স্থানীয় সরকারের সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছামূলক সমন্বয় জোরদার করা হবে। এমডিজি অর্জন এবং এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন) বাস্তবায়ন কৌশল (২০১৬-২০৩০)

দারিদ্র ও ক্ষুধা নির্মুল, নারী-পুরুষ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস এবং মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন-এই চারটি এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ বিশেষ সাফল্য অর্জন করে প্রশংসিত হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা হবে।

ব-দ্বীপ বা ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০: বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সাল নাগাদ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাসমূহের সমন্বয়ের যোগসূত্র সৃষ্টি করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button