নতুন আইফোনের দুর্বলতার খোঁজ মিলেছে
জার্মানির হ্যাকারদের একটি দল দাবি করেছেন যে, তারা আইফোনের ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানার হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিংগারপ্রিন্ট প্রযুক্তির আইফোন বাজারে আসার দুই দিনের মাথায় এ দাবি করলেন হ্যাকাররা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, হ্যাকারদের দাবি পরীক্ষা করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে তা অ্যাপলের জন্য লজ্জার বিষয়ই হয়ে দাঁড়াবে। কারণ নতুন মডেলের আইফোনের প্রচারণার জন্য ফিচার হিসেবে ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানারকে উপস্থাপন করেছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুজন বিশিষ্ট আইফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জার্মানির ক্যাওস কম্পিউটিং ক্লাব বা সিসিসির দাবিকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন।
হ্যাকাররা আইফোনের ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানারকে ধোঁকা দিতে আঙুলের ছবি তোলেন এবং তা স্বচ্ছ কোনো পাতার ওপর তা প্রিন্ট করেন যা পরবর্তীতে আঙুলের নকল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। হ্যাকারদের দাবি, আইফোনের ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানারকে ধোঁকা দেওয়া কঠিন কিছু নয়। অন্যান্য ফিংগারপ্রিন্ট প্রযুক্তির নকল করার মতোই আইফোনের স্ক্যানারকেও আঙুলের ভূয়া ছাপ দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা টপকে যাওয়া যায়।
অবশ্য হ্যাকারদের দাবি সম্পর্কে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেনি।
এর আগে অ্যাপলের দাবিকৃত শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে নতুন আইফোনে ফিংগারপ্রিন্টকে পরাস্ত করার জন্য হ্যাকারদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন উদ্যোক্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের আইও ক্যাপিটাল নামের একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা আর্টুরাস রোজেনব্যাচার আইফোনের নিরাপত্তাত্রুটি বের করার জন্য বিশেষ পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলেন।
জার্মানির হ্যাকারদের নিরাপত্তা ত্রুটির খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি জেনেছেন রোজেনব্যাচার। তিনি এখন এ বিষয়ে আরও তথ্য-প্রমাণ চেয়েছেন। হ্যাকার দলটি যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারলেই ১৩ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি পুরষ্কার পাবে।