কাউন্সিলগুলোর ফান্ড বিষয়ক কনসালটেশন: মেয়র জন বিগসের উদ্বেগ
কাউন্সিলের ফান্ডিং বিষয়ক ক্ষমতাসীন কনজারভেটিব সরকারের কনসালটেশনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস। মঙ্গলবার এক বিশেষ বিবৃতিতে তিনি সরকারের এই তথাকথিত ফেয়ার ফান্ডিং রিভিউকে দরিদ্র এলাকার ফান্ড ধনী এলাকায় সরিয়ে নেয়ার একটি উদ্যোগ হিসাবে সতর্ক করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, আগামী ফেব্রুয়ারীতে শেষ হতে যাওয়া এই কনসালটেশনের প্রতিক্রিয়া কী হবে জানা না গেলেও কাউন্সিলগুলোকে এক ধরনের অনিশ্চিয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
মেয়রের মতো দ্যা ইনস্টিটিউট অব ফিসকাল স্টাডিসও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে এই রিভিউ ইনার লন্ডনকে আঘাত করবে এবং শহরতলীর কাউন্সিলগুলোকে সাহায্য করবে।
দ্যা ইনস্টিটিউট অব ফিসকাল স্টাডিস আরো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে সরকারের সাম্প্রতিক ফান্ডিং সেটেলম্যান্টে দরিদ্র্য এলাকার কাউন্সিলগুলোর চেয়ে ধনাঢ্য এলাকার কাউন্সিলগুলো বেশী উপকৃত হয়েছে। এছাড়া ২০১৫- ১৬ সালের তুলনায় কাউন্সিলগুলোর সর্বোপরী বাজেট বরাদ্দ কমেছে ০.৬ বিলিয়ন পাউন্ড। এমনকি বিজনেস রেইট এবং কাউন্সিল ট্যাক্স যোগ করার পরও তা কমেছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে কনজারভেটিব সরকারের ব্যায় সংকোচন শুরু হবার পর টাওয়ার হ্যামলেটসের বাজেট ১৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড (৬৪%) কমেছে।
বিবৃতিতে মেয়র জন বিগস আরো বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের মতো ইনার সিটিগুলোর মাথায় নতুন বছরের শুরুতেই ঝুলছে ফেয়ার ফান্ডিং রিভিউ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্চেছ সরকার গোল পোস্ট অন্যত্র সরিয়ে আমাদের মতো দরিদ্র এলাকার ফান্ডকে পুনবন্টন করতে চাচ্ছে।
মেয়র বলেন, লন্ডনের অন্যান্য লিডারদের সাথে নিয়ে সরকারের যে কোন ধরনের ফান্ডিং কাটের বিরুদ্ধে আমি আমার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাবো।
কেবিনেট মেম্বার ফর রিসোর্সেস কাউন্সিলার ক্যান্ডিডা রোনান্ড তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সরকার ইনার সিটির ফান্ডিংকে সরিয়ে করজারভেটিব নিয়ন্ত্রিত বাইরের বারাগুলোতে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে। সরকারের উচিৎ স্থানীয় সরকারের সার্বিক বাজেট বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়া। তিনি আরো বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হচ্ছে আমাদের বাজেট কাটের ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের কমতি নেই।