প্রধানমন্ত্রীকে নিউইয়র্ক বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে গতকাল সোমবার সকালে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৬ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বড় সফরসঙ্গী দল নিয়ে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। টারমাক থেকে হোটেল হায়াতের উদ্দেশে বের হন ৯টা ১৬ মিনিটে।
প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আবদুল মোমেন ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ স¤পাদক সাজ্জাদুর রহমান এদের নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও এরই মধ্যে ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন এমন অনেক সংবাদকর্মীও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, ডজনখানেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, মহাজোটের শরিক দলগুলোর নেতা, অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতা ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন। এছাড়া প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন তার সরকারের চলতি মেয়াদে শেষ নিউইয়র্ক সফরের সঙ্গী হয়ে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক আগমনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। দলটির বেশ কিছু নেতা-কর্মী বিমানবন্দরে অবস্থান নেন এবং শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে কালো পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিমানবন্দরের সামনে একপক্ষ যখন স্বাগত এবং অপরপক্ষ প্রতিবাদ জানাচ্ছিলো তখন বিমানবন্দরের টারমাক থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি গাড়ি রওয়ানা দেয় নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটনের হোটেল হায়াতের উদ্দেশে। সফরসঙ্গীদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির বহরের সঙ্গে থাকলেও অনেকেই বের হয়ে আসেন ইমিগ্রেশন পার হয়ে মূলফটক ধরে। এরপর ধীরে ধীরে বিমানবন্দরে উপস্থিত সকলেই সেখান থেকে বের হয়ে যেতে থাকেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পৌঁছে যান হোটেল হায়াতে। এখানে অবস্থান করেই আগামী ৭ দিন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃত্বরা আলোচনা করবেন আগামী দিনের বিশ্বটি তারা কেমন দেখতে চান তা নিয়ে। ভবিষ্যতের মঞ্চ প্রস্তুতের এজেন্ডাগুলো ঠিক করবেন তারা।
এমডিজি ছাড়াও জাতিসংঘ অধিবেশনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বক্তা থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পাশাপাশি সাইডলাইনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আলোচনাসহ বেশ কয়েকটি দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ কমিউনিটি। ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়বেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button