বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরে বিশ্ববাসী
সবার আগে স্বাগত জানাল সামোয়া
রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, ধর্মীয় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মাঝে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেল ২০১৮ সালের। পুরনো বছরের সব দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০১৯ সালকে বরণ করে নিতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জমকালো আয়োজনে বরণ করে নেয়া হয়েছে নতুন বছরকে। বর্ণিল আতশবাজিতে দেশে দেশে চলছে বর্ষবরণ উৎসব। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০১৯ সালকে বরণ করে নেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর একে একে অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের আয়োজনে মেতে ওঠেন মানুষ।
যুক্তরাজ্য:
ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোট বাজতেই লন্ডনের টেমস নদীর তীরে যে বইলো আতশবাজির বন্যা। আর এভাবেই ২০১৯ সালকে বরণ করে নিল ব্রিটেন।
অস্ট্রেলিয়া:
খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আতশবাতির রঙে ছেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার আকাশ। ঐতিহ্যবাহী সিডনি হারবারের মনোমুগ্ধকর ওই আতশবাজি উপভোগ করতে আগে থেকেই জড়ো হন হাজারো মানুষ। মেতে ওঠেন বর্ষবরণের উৎসবে।
কোরিয়া:
বর্ষবরণের উৎসবে মেতেছে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরাও। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে জড়ো হন উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দরা। এসময় রঙিন আলোকসজ্জায় নেচে নেচে ২০১৯ সালকে বরণ করে নেন তারা। এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলেও খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে কেন্দ্র করে জমকালো আয়োজন করা হয়।
জাপান:
খ্রিষ্টীয় নববর্ষের উৎসবে মেতে উঠে জাপানের বাসিন্দারা। টোকিও স্কয়ারে আতশবাজির রঙিন ছটায় নেচে-গেয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন তারা।
হংকং:
হংকংয়ে চোখ ধাধানো আতশবাজি ও বর্ণিল আলোকসজ্জার মধ্যদিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়। মনোমুগ্ধকার এ আয়োজন দেখতে জড়ো হন হাজারো মানুষ।
চীন:
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশ ঘটা করে নবর্ষের আয়োজন করেছে চীন। বর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস স্টেডিয়ামে বর্নিল আলোকসজ্জার পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উৎসবের আয়োজন করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত:
বর্ষবরণের উৎসবে মেতে উঠে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারাও। বুর্জ খলিফার আতশবাজির রঙিন ছটায় নতুন বছরকে বরণ করে নেন তারা।
সবার আগে স্বাগত জানাল নিউজিল্যান্ড:
এর আগে আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর। ঘড়িতে স্থানীয় সময় রাত ১২টা বাজতেই প্রায় এক হাজার ফুট উচ্চতার স্কাই টাওয়ারের বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় নিউজিল্যান্ডবাসী। তবে সবার আগে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসগারীয় দ্বীপপুঞ্জ সামোয়া।
আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় এমন দেশগুলোর একটি নিউ জিল্যান্ড। নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে। তবে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে নববর্ষ শুরু হয় সামোয়াতে। দেশটি নিউ জিল্যান্ডের কাছাকাছি অবস্থিত। এক ঘণ্টা আগে সেখানে নতুন বছরের আগমন হয়। সামেয়া সরকার ফেসবুকে একটি বার্তায় দেশটির ও বিশ্ব নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে নতুন বছরের। একই সঙ্গে আতশবাজির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে জমকালো ও চোক ধাধানো আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে আতশবাজির আয়োজন করা হয়। ২০১৮ সালকে বিদায় জানিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় একে একে ২০১৯ সাল বরণ করে নেবে ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো।
বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।