জামায়াতের বিচারে আবারো আইন সংশোধন হচ্ছে
যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আবারো সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা মানবতাবিরোধী ব্যক্তি তাদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালের আইনটি করা হয়েছিল। তখন সেই আইনটাতে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য করা হয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন জামায়াতকে ‘ব্যান্ড’ করা হয়েছিল। সে কারণে আইন সংশোধনের দাবি উঠেছিল। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের বিচার ও তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি বলেন, তিনটি রায়ে দেখা গেছে যে, জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাদের বিচারের জন্য দাবি উঠেছে সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম যে, বিদ্যমান আইনে বিচার করা যায় না, তাই সংশোধন প্রয়োজন।
আইনমন্ত্রী বলেন, গত মেয়াদে আমরা আইন সংশোধনে হাত দিই। আমরা কিছু সংশোধন করে আইন বিভাগে পাঠাই। পরে কিছু আইনগত শব্দ সংশোধন করে পাঠানো হয়, আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই মন্ত্রিসভায় উঠানো হবে। এরপর পাস করা হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলা হত্যার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে আইন কমিশন করা প্রয়োজন বলেও মত দেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের চিন্তাও আমাদের রয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অন্তরায় নয় দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনটি ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই করা হয়েছে। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায় নয়।’