ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে নতুন বাধা
চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার বাস্তবতায় সরকারের ক্ষমতার সীমা কতোটুকু হবে, তা নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে হেরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে এমপিদের একটি বড় অংশ এ সংক্রান্ত অর্থ বিল সংশোধনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। লেবার এমপি ইভেত্তে কুপার প্রস্তাবিত সংশোধনীতে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট পরিস্থিতিতে সরকারের কর সংক্রান্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা খর্ব করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট বাস্তবায়িত হলে সরকার কর সংক্রান্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না, এজন্য পার্লামেন্টের চূড়ান্ত অনুমোদন দরকার হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অর্থ বিল সংশোধনের প্রস্তাব পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে আরেক ধাপ বাধার মুখে পড়লেন থেরেসা মে। ২০১৯ সালে ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার কথা। বের হয়ে যাওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে জোটটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন থেরেসা। সে ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন করানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কবে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়ে বার বারই হোঁচট খেয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্বিমতকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেছেন দুই দুইজন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী। অন্য মন্ত্রণালয়েরও কয়েকজন সরে দাঁড়িয়েছেন। পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও। তুমুল বিরোধিতার মধ্যে থেরেসার ব্রেক্সিট চুক্তিটি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। তবে এ ব্রেক্সিট চুক্তি না হলেও চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসতে পারবে যুক্তরাজ্য। একে নো ডিল ব্রেক্সিট পরিস্থিতি নামে ডাকা হচ্ছে। তবে এ প্রশ্নেও রয়েছে বিরোধিতা। কোনও চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার বিরোধিতাকারী এমপিরা মঙ্গলবার অর্থ বিল সংশোধনের পক্ষে ভোট দেন। ৩০৩-২৯৬ ভোটে লেবার নেতা কুপার উত্থাপিত প্রস্তাবটি পাস হয়।