লাদেন বেশ ! আমেরিকায় গনপিটুনির শিকার শিখ অধ্যাপক
ধর্ম এবং বিশ্বাষ কোনটাই তার লাদেনের সাথে মিলে না। কেবল মাত্র বেশ ভুষা-তা ও লাদেনকে অনুসরণ করে নয়। নিজের শিখ ধর্মীয় বোধের কারনেই দাড়ী-গোঁফ রাখা, মাথায় পাগড়ী বাধা, আর শিখদের পাজামা পাঞ্জাবী পরিধান। স্রেফ এই অপরাধেই নিউইয়র্কে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন বলে এক শিখ অধ্যাপককে বেধড়ক পেটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রভজৎ সিং। সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে প্রভজৎ বলেন, মনে হচ্ছে এটা আমার চেনা হারলেম শহর নয়, আমার চেনা আমেরিকাও নয়। আমি চাই না আমার এক বছর বয়সী সন্তানও এ ধরনের তিক্ত পরিস্থিতির শিকার হোক। শিগগির আমি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, তারা আমাকে ‘ওসামা বিন লাদেন’ এবং ‘সন্ত্রাসী’ বলে বেধড়ক পিটিয়েছে। অথচ একজন আমেরিকান হিসেবে কে কী পরলো বা কাকে কেমন দেখালো সেট বিবেচ্য নয়। কারণ, এটা ব্যক্তির নিজস্ব মূল্যবোধের ব্যাপার।
নিউইয়র্কের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ম্যানহাটনের হারলেম জেলার আবাসিক এলাকায় প্রভজৎ’র ওপর হামলা চালানো হয়। এই এলাকায় প্রভজৎ যেমন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত, তেমনি এলাকাটিকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ এলাকাও বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো আরও জানায়, প্রভজৎ’র বাসস্থানের সঙ্গে তার কর্মস্থল ম্যাউন্ট সিনাই হাসপাতাল ও কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির দূরত্বও বেশি নয়। এই খানিক দূরত্বের মধ্যে ঠিক কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটাও পরিষ্কার নয়।
প্রভজৎ’র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু শিমরাঞ্জিত সিং প্রথম আক্রান্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটা খুবই ব্যথাতুর ব্যাপার যে, একজনকে পোশাক ও মৌখিক অবয়বের জন্য পেটানো হবে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলার ব্যাপারে স্থানীয় শিখ সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় মার্কিন প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন প্রভজৎ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেউ এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।