একই অনুষ্ঠানে আ.লীগ, বিএনপি, জাপা ও জামায়াত নেতারা

নির্বাচনকালীন সরকার, যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, জোটে থাকা না থাকা এসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন চরমে। দেশের স্বার্থে এক টেবিলে বসার কোনো আগ্রহ নেই কারো মধ্যে। আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এক মজলিসে সমবেত হলেন প্রধান চার দলের নেতারা। শুধু তা-ই নয়, কিছুক্ষণ কথাবার্তাও বললেন তারা। দৃশ্যটির দৈর্ঘ্য খুব স্বল্প হলেও শান্তিপ্রিয় মানুষ একটু অন্তত আশ্বস্ত হতে পারেন এতে।
এমন মিলনমেলা ঘটেছে সোমবার রাতে। সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে এক নৈশভোজে উপস্থিত হয়েছিলেন সরকারি দল আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি নেতারা। রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তারা এক সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বৈঠকের বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেন।
চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। তবে এসব কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা নয়।’
নৈশভোজে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বিএইচ হারুণ।
বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুব, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, মীর নাছির, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ।
জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন- দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন- দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, ব্যারিস্টার আরমান আলী, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভূটান, নেপাল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
ভোজসভার এক ফাঁকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকে দীর্ঘক্ষণ একান্তে আলাপ করতে দেখা যায়। বাংলা মেইল

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button