নিঃসঙ্গ হয়ে গেলেন মুহিত
এক সময়ের দাপুটে মন্ত্রী। পান থেকে চুন খসলে যার আশে-পাশে মানুষের অভাব হতো না তার এই একাকিত্ব চোখে লাগার মতোই ঘটনা। ঢাকা থেকে সিলেটে ফিরলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শোভাযাত্রাতো দূরে থাক যেনো কথা বলার বা স্বাগত জানাবারও কেউ নেই আজ। পুরো বিপরীত এক দৃশ্যপট।
এর আগে যখনি ঢাকা থেকে সিলেট ফিরতেন তখন ভিড় লেগে থাকতো সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে। কার আগে কে যাবেন এ নিয়ে পড়ে যেত হুড়োহুড়ি-ধাক্কাধাক্কি, ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। স্লোগানে স্লোগানে বিমানবন্দর এলাকা মুখর হয়ে ওঠতো। মোটর শোভাযাত্রার বেষ্টনীতে নিয়ে আসা হতো অর্থমন্ত্রীকে। সেই সাবেক অর্থমন্ত্রী শুক্রবার একাই সিলেট গেলেন। সাবেক এপিএস জনি ছাড়া তার হুইল চেয়ার ধরার মতোও কেউ ছিল না। দেখা যায়নি তার সু-দিনের কোনো বন্ধুদের। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে না পড়তেই তারা ভুলে গেছেন প্রভাবশালী মুহিতকে।
বেলা একটা ৫০ মিনিটের সময় নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিলেট যান আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিমান থেকে নেমে হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। জনশূন্য ভিআইপি লাউঞ্জ তখন অনেকটা অপরিচিতই মনে হচ্ছিল মুহিতের কাছে। ভিআইপি লাউঞ্জের গেটে একমাত্র বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম স্বাগত জানান। চিরচেনা পরিচিতমুখগুলো দেখতে না পেয়ে অনেকটা হতাশই মনে হচ্ছিল সাবেক এই অর্থমন্ত্রীকে। পরে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত বিমানবন্দর থেকে যান সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মন দেন বিপিএলের সিলেট সিক্সার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচ।