অতি ধনীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে বাংলাদেশে
বাংলাদেশে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী পাঁচ বছর বেড়ে এর সংখ্যা হবে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ- এক্সের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল দেশের তালিকায় ধনী জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পাওয়ার হিসাবে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। ২০১৮ সালে সম্পদশালী বৃদ্ধির হার ও ২০২৩ সাল পর্যন্ত এর চলার গতি ধরে এ হিসাব করেছে ওয়েলথ-এক্স। সংস্থাটির ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অতি ধনীর সংখ্যা ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধির এ হার বিশ্বে সর্বোচ্চ।
নতুন প্রতিবেদনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধনী বৃদ্ধির হারে শীর্ষে থাকবে এমন ১০টি দেশের নামের তালিকায় দেওয়া হয়। যেখানে শীর্ষে আছে নাইজেরিয়া। এর পরের অবস্থানে আছে মিসর। দেশটিতে ধনী বাড়বে সাড়ে ১২ শতাংশ হারে। তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। এরপর যথাক্রমে ভিয়েতনাম, পোল্যান্ড, চীন, কেনিয়া, ভারত, ফিলিপাইন ও ইউক্রেন আছে।
অতি ধনী বলতে ওয়েলথ-এক্স বলছে, ১০ লাখ থেকে ৩ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের মালিককে। অর্থাৎ যাদের সাড়ে ৮ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকা আছে তারা অতি ধনী। আর যাদের ৩ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সম্পদ রয়েছে তারা অতি-উচ্চ ধনী।
সাধারণত প্রাথমিক বাসস্থান, সংগ্রহে থাকা জিনিসপত্র ও ভোগ্যপণ্যের মতো ব্যক্তিগত সম্পদ বাদ দিয়ে যাদের সর্বোচ্চ ৩ কোটি মার্কিন ডলারের মতো বিনিয়োগ উপযোগী সম্পদ রয়েছে তাদের অতি ধনী ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিশ্বে ধনীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখে। যা ১ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। আর সব উচ্চ সম্পদশালীর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৬১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধনী মানুষ থাকে এমন ১০ দেশ:
এ তালিকার শীর্ষ আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৮৬ লাখ ৮০ হাজার অতি-উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি আছে। এরপর আছে চীন। তাদের ধনী মানুষ হচ্ছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার। আর জাপান (১৬ লাখ ২০ হাজার), জার্মানি (১০ লাখ ২ হাজার), যুক্তরাজ্য (৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯০৫), ফ্রান্স (৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮০), কানাডা (৫ লাখ ৫ হাজার ১০), দক্ষিণ কোরিয়া (৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭০৫), অস্ট্রেলিয়া (৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০) এবং ইতালি (৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০)।