বর্ণিল আয়োজনে মালয়েশিয়ায় যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
যুগান্তরের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি আহমাদুল কবিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাশেদ বাদল, লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইউরো বাংলার সম্পাদক, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও লন্ডন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, জহিরুল ইসলাম জহির, জালাল উদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. বশির আহমেদ ফারুক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ভাষার মাসের প্রথম দিন দেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় দৈনিক যুগান্তরের জন্মদিন। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যুগান্তর বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানোর যে কয়টি সংবাদপত্র রয়েছে তার মধ্যে যুগান্তর একটি।
কুয়ালালমপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযোগী ভাবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাইকমিশনকে আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবেন না, হাইকমিশন আপনাদের সহযোগী। আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করবেন যাতে আমাদের সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত হয়। প্রবাসীদের কল্যানে সেবা প্রধানে হাইকমিশন সর্বাদা স্বচেষ্ট।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব বলেন, হাইকমিশন কোনো প্রবাসীর সমস্যার কথা শুনলে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে।
প্রবাসীদের সেবা দানে হাইকমিশনের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে কি হয়েছে ভুলে যান। আমাদেরকে তথ্য দিন, আমরা তা সমাধানের জন্য সহযোগিতা করবো। মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কর্মদক্ষতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলতার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, এই দেশে যতো বড় সুন্দর সুন্দর স্থাপনা রয়েছে তার প্রতিটিতেই বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রম আছে।
নতুন করে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করেনি মালয়েশিয়া, এটি পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। হাইকমিশনের প্রচেষ্টায় এর আগে দুই বছরে ৩ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ পেয়েছে মালয়েশিয়ায় বলে তিনি যোগ করেন।
কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল বলেন, দেশের ন্যায় প্রবাসীদের সুখ-দুঃখের খবর যুগান্তর আন্তরিকতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করতে সচেষ্ট থাকে। পাশাপাশি সৃজনশীলতার বিকাশে প্রশংসার দাবি রাখে। যুগান্তর সত্য প্রকাশে কখনও পিছপা হয়নি। যুগান্তর দেশের শিল্প-সংস্কৃতির সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করে এ অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে শুরু থেকেই।
লন্ডন ইউরো বাংলার সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন জাহেদী তার বক্তব্য বলেন, ১৯ বছর অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পার করা শুধু যুগান্তরের কর্ণধার ও কর্মীদেরই কৃতিত্ব নয়, এর পেছনে পাঠকদেরও কৃতিত্ব রয়েছে। সংবাদ পরিবেশনে যুগান্তর তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি কখনও। পাঠকদের প্রত্যাশাকে মূল্য দিয়ে আগামী দিনেও যুগান্তর সামনে এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা প্রবাসীদের।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মো. আবুসাইদ সরকার, আল-আমিন,ইব্রাহিম খলিলসুমন, শহদিুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, রহমত উল্লাহ, জাবেদ ফকির, জুয়েল, জামাল বয়াতি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনাম আহমদ প্রমূখ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, কাজী আশরাফুল, দফতর সম্পাদক মো. শাহরিয়ার তারেক, ফারজানা সুলতানা, আশরাফুল মামুন, মোহাম্মদ আলী,সুমন, শেখ জনি উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং পরস্পরের মুখে কেক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত সকলে করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।
এ ছাড়া যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, ডিফেন্স অ্যাডভাইজার মো. হুমায়ূন কবির, ফার্স্ট সেক্রেটারি কন্স্যুলার মো. মাসুদ হোসাইন, প্রথম সচিব বাণিজ্য মো. রাজিবুল আহসান, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদারসহ প্রবাসী কমিউনিটি, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।