ব্রেক্সিটের পর দাঙ্গা বেঁধে গেলে রানীকে সরিয়ে নেয়া হবে
কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলে দাঙ্গা বাধতে পারে, এমন আশঙ্কায় ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ রাজপরিবারকে সরিয়ে নেয়ার ‘শীতল যুদ্ধকালীন’ একটি পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করেছেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। আগামী মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পর লন্ডনে কোনো দাঙ্গা শুরু হলে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দুটি গণমাধ্যম।
শীতল যুদ্ধকালীন সময় থেকেই জরুরিভাবে সরিয়ে নেয়ার এ পরিকল্পনার অস্তিত্ব আছে, কিন্তু চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের কারণে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে এ পরিকল্পনাটি কাজে লাগানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রানীসহ রাজপরিবারকে লন্ডন থেকে অন্য একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার একটি পরিকল্পনার কথা তারা জানতে পেরেছে। ব্রিটিশ রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা ও ব্রেক্সিটের কড়া সমর্থক জ্যাকব রেস বলেন, তিনি মনে করেন, রাজপরিবারকে নিয়ে ওই পরিকল্পনায় চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের অহেতুক ভীতি প্রকাশ পেয়েছে, কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমাবষের্ণর সময়ও রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা লন্ডনেই ছিলেন।
কিন্তু লন্ডনে যদি অস্থিরতা শুরু হয়, তাহলে রানীকে লন্ডনের বাইরে সরিয়ে নেয়া হবে, এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এক সময় রাজপরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেখভাল করা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডাই ডেভিস। আগামী ২৯ মার্চ ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার তারিখ নির্ধািরিত হয়ে আছে। কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে ইইউয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মে সরকারের সমঝোতা হওয়া একটি চুক্তি ব্রিটিশ পার্লােমেন্টের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘চুক্তি ছাড়া’ ব্রেক্সিটের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
গত মাসে স্থানীয় একটি নারী সংস্থায় ৯২ বছর বয়সী রানীর দেয়া বার্ষিক বক্তৃতাকেও ব্রেক্সিট চুক্তিতে পৌছানোর জন্য রাজনীতিকদের প্রতি রানির ‘আহ্বান’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।