ইংল্যান্ডেও জরুরি সেবার এই অবস্থা!
উন্নত দেশগুলোতে জরুরি সেবা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। তবে ইংল্যান্ডে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক এক ঘটনাকে অনেকে জরুরি সেবায় অবহেলা হিসাবে দেখছেন। জানা গেছে, মায়ের দুর্ঘটনার খবর শুনে মার্ক স্লিমেন্ট নামের এক ব্যক্তি ৩০০ কিলোমিটির পথ পেরিয়ে লন্ডন থেকে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ডোভানে পৌঁছান চার ঘণ্টায়। এর মধ্যে মার্ককে বাস, পাতাল ট্রেন এবং দুইবার ট্রেন পরিবর্তন করতে হয়। অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর পরই অ্যাম্বুলেন্সকে খবর দেয়া হলেও সেটা পৌঁছতে পারেনি মার্কের আগে। যদিও মার্কের মায়ের বাড়ি থেকে ১০ মিনিটেরও কম দূরত্বে ছিল অ্যাম্বুলেন্স স্টেশন। মার্কের মা ৭৭ বছর বয়সী মার্গারেট হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে যান এবং তার কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এরপর মার্কের বাবা অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। কিন্তু সেটা পৌঁছতে এতটাই দেরী করে যে মার্গারেটের চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয় ৭ ঘণ্টা।
মার্ক জানান, দুর্ঘটনার পর পুরোটা সময় তার মা ঠাণ্ডা মেঝেতে পড়েছিলেন এবং নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। বাড়িতে তার বাবা থাকলেও তিনি মাকে তুলতে পারছিলেন না। মার্ক বলেন, ‘মা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও ব্যথায় এতটাই কাতর ছিলেন যে তিনি মরে যেতে চাচ্ছিলেন’। পৌঁছতে দেরি হওয়ার জন্য অবশ্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ক্ষমা চেয়েছে। তারা বলেছে, হঠাৎ করে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এমনটা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মার্কের মা মার্গারেটের কোমরে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।