ইসরাইলি রাসায়নিক অস্ত্রের গুদাম নিয়ে পাশ্চাত্যের মাথাব্যথা নেই

‘অল দ্য নিউজ দ্যাট’স নট ফিট টু প্রিন্ট’ শিরোনামের ওই নিবন্ধে চমস্কি বর্তমান সিরিয়া-সংকট নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের একচোখা নীতি তুলে ধরেছেন। নিবন্ধের শুরুতে চমস্কি বলেছেন, নিঃসন্দেহে নিউইয়র্ক টাইমস নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে তথ্যবহুল পত্রিকা হিসেবে দাবি করতে পারে। কিন্তু কী কী বিষয় আমাদের বলা যাবে না বলে পত্রিকাটি আগেই ঠিক করে রেখেছে, সেদিকে দৃষ্টিপাত করাটা খুবই মজার। চমস্কি লিখেছেন, পত্রিকাটি সত্য তথ্য দেয়ার পাশাপাশি কৌশলে সত্য তথ্য চেপে যায়। উদাহরণ দিতে গিয়ে চলতি মাসেরই ১২ তারিখে প্রকাশিত একটি মন্তব্য প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে। পত্রিকাটির ইসরাইল সংবাদদাতা জোডি রুডোরেনের লেখা ওই প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করতে পারাটা ইসরাইলের জন্য হবে বিরাট অর্জন। বুদ্ধিজীবী চমস্কি লিখেছেন, রুডোরেনের কথা অবশ্যই ঠিক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও বলেছেন, সিরিয়াকে অবশ্যই কেমিক্যাল উইপোনস কনভেনশন (সিডব্লিউসি) মেনে চলতে হবে এবং সব রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে হবে। চমস্কির কথায়, ইসরাইলি সাংবাদিক রুডোরেনের সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ হলেও অসম্পূর্ণ এবং একপেশে। সিডব্লিউসি রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তথাপি যে দেশটি নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা মাড়িয়ে সিরিয়ার একটি অংশ দখল করে রেখেছে এবং রাসায়নিক অস্ত্রের রীতিমতো গুদাম নিয়ে বসে আছে, সেদেশের এই কর্মকা- নিয়ে কোনো প্রশড়ব তোলেননি রুডোরেন। চমস্কি লিখেছেন, গণমাধ্যম আমাদের প্রায়ই স্মরণ করিয়ে দেয় সিরিয়াসহ পাঁচটি দেশ সিডব্লিউসিতে সই করেনি। এ কথা সত্য, কিন্তু অর্থহীন। মূলত পাঁচটি দেশ নয়, মোট সাতটি দেশ সিডব্লিউসিতে সই করেনি। যে পাঁচটি দেশের কথা বলা হয়, এসব দেশের সঙ্গে আরও দুটি দেশের নাম থাকা উচিত। এর একটি হলো মিয়ানমার, অপরটি ইসরাইল। রাসায়নিক অস্ত্র-ইস্যুতে মিয়ানমার প্রাসঙ্গিক না হলেও ইসরাইল নিঃসন্দেহে অতিপ্রাসঙ্গিক।