শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানালেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা
তৈয়বুর রহমান টনি নিউইর্য়ক: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী আরব আমিরাত বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৯.০৬ মিনিটে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
শেখ হাসিনা বিমান বন্দর থেকে সরাসরি গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে গেছেন। এই সফরে এই হোটেলেই থাকছেন তিনি। বিশ্বের রাজধানী নিউ ইর্য়কে জন এফ কেনেডি বিমান বন্দর থেকে ম্যানহাটনে গ্রান্ড হায়াৎ হোটেলে পৌছাইতে সময় লেগেছে প্রায় ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট। বিমান বন্দর থেকে ম্যানহটনের গ্রান্ড হায়াৎ হোটেলে যেতে সময় লাগে আধঘন্টা। আর ট্রাফিক হলে এক ঘন্টা মত লেগে যায়, প্রধামন্ত্রীর সময় লেগেছে প্রায় আরাই ঘন্টা তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যানজটেই পরেছিলেন সেটা বাংলাদেশর স্হায়ী প্রতিনিধি ডঃ একে আব্দুল মোমেন প্রতিনিধিকে জানান।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাএ লীগ, শ্রমীক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগ, ভার্জেনিয়া, ম্যারিল্যান্ড আওয়ামী লীগ, কানেকটিকেট, মিশিগান, আটলান্টা, নিউ জার্সী, বোষ্টন, ক্যালিফনিয়া জর্জিয়া আওয়ামী লীগ সহ বহু নেতা-কর্মী-সমর্থকরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিমান বন্দরে জড়ো হন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ডঃ সিদ্দিকুর রহমান, সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সহ সভাপতি ফজলুর রহমান,আকতার হোসেন, আবুল কাসেম, নাজমুল ইসলাম, শামছুদ্দিন আজাদ, সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, আব্দুস সামাদ আজাদ ও আইরিন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, মনসুর খান, উপদেষ্টা ডঃ শাহজাহান মাহমুদ, হাজী শফিকুল আলম, সাইফুল ইসলাম রহীম সহ বহু নেতাকর্মীরা উপস্হীত ছিলেন।
বিমানবন্দরের বাইরে পুলিশি বেষ্টনির মধ্যে দুই পক্ষে কর্মসূচি পালন করে। বিএনপি নেতা কর্মীরা ৩০/৪০ জন কিছুক্ষন থেকে অবস্হান ত্যাগ করেন।
১৪৪ জন সফরসঙ্গী নিয়ে রোববার রাতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।
এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানী, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও কমনওয়েলথের মহাসচিব কমলেশ শর্মার সঙ্গেও তার বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে।
এর বাইরে বেশ কয়েকটি আলোচনা সভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
রাজনীতিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়াও এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ৪১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে রয়েছেন।
২৪ সেপ্টেম্বর টেকসই উন্নয়নের ওপর উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২৫ সেপ্টেম্বর সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জাতিসংঘের আরেকটি বিশেষ বৈঠকে শেখ হাসিনা কো-চেয়ার থাকবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার বক্তৃতার সময় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফর নিয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুন-অর রশীদ জানান, ১৪৪ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবারের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন।
৪৬ জন ব্যবসায়ীসহ ১২৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক সফরে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা তাদের ভ্রমণ ব্যয় নিজেরাই বহন করবেন।