বিষাক্ত মদে প্রাণহানি ১৩৩
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বিষাক্ত মদপানের পৃথক দুই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে। এছাড়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২২৫ জন। রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা মুকেশ আগারওয়াল জানান, আসাম রাজ্যের গোলাঘাট ও জোরহাট জেলার এ ঘটনা ভারতে বোতলজাত মদপানের ভয়াবহ ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ঘট্নায় নিহতদের বেশির ভাগই চা-শ্রমিক।
বিশ্বে চা উৎপাদন ও রপ্তানিতে অন্যতম শীর্ষ দেশ ভারতে সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদিত হয় এ আসামে। এক হাজারেরও বেশি চা বাগানের এই রাজ্যে দেশটির ৫০ শতাংশ চা উৎপাদিত হয়। পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের কোনো এক সময়ে শ্রমিকরা নিম্নমানের মিথাইল অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করেন। যা তাদের স্নায়ুকে অকার্যকর করে দেয়। এরপর থেকেই তারা অচেতন হয়ে পড়া শুরু করলে তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে।
এখনও প্রায় ২০০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জানিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা বলেন, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জোরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মানব গোহাইন জানান, হাসপাতালের ভর্তির পর ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ওই মদ উৎপাদনে জড়িত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মুকেশ আগারওয়াল বলেন, এ কাজে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ‘এই মদ উৎপাদন ও বিতরণে (ব্যবসায়) জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না’, যোগ করেন তিনি।
ভারতে অবৈধভাবে নিম্নমানের মদপানে মৃত্যু একটি সাধারণ ঘটনা। কারণ, অনেকেই সরকারি লাইসেন্সযুক্ত ব্র্যান্ডের মদ কেনার সামর্থ রাখেন না। তাই গরিব শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সস্তা ও নিম্নমানের মদ পান করে এ ধরনের মৃত্যু ও অসুস্থতার শিকার হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর প্রদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি এমন বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।