সৌদির প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রীমা
সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও নারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদির প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় সে দেশের প্রিন্সেস (যুবরানী) রীমা বিন্ত বান্দার বিন সুলতানকে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অবনতি শুরু গতবছর ডিসেম্বর থেকে। এর মধ্যে এমন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগকে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।
২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান রীমারই ভাই খালিদ বিন সালমান। রীমার নিয়োগের পাশাপাশি একইদিনে খালিদ বিন সালমান নিযুক্ত হলেন দেশের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন সৌদি আরবের রাজা।
সাংবাদিক খাসোগির হত্যাকে ঘিরে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়। কংগ্রেস সদস্যরা যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যার জন্য দায়ী করলেও মার্কিন ‘অস্ত্রের বিশ্বস্ত এবং সুনিশ্চিত ক্রেতা’ হওয়ার দরুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু বরাবরই সৌদিকে সমর্থন করেছেন।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিয়াম স্টাডিজে স্নাতক রীমা বিন্ত দীর্ঘদিন ধরে সৌদির সমাজ সংস্কারমূলক কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাষ্ট্রদূতের পদে যুবরানীর অভিষেক দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা কাটাতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, রীমার বাবা যুবরাজ বান্দার বিন সুলতান নিজেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলেছেন। সেসময় বুশ পরিবারের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল বান্দার বিন সুলতানের।