কওমী মাদ্রাসার উপর কোন আঘাত বরদাশত করা হবে না : আল্লামা বরকতপুরী

Sylhetকওমী মাদ্রাসার শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষার দাবীতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার মিছিল সহকারে সিলেট মহানগর হেফাজতের উদ্যোদে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দুপুর ১২ টায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিলেট মহানগর নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপি পেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি আল্লামা আব্দুল বাছিত বরকতপুরী। মহানগর হেফাজতের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ও হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-জেলা হেফাজতের জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মহানগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মহানগর সেক্রেটারী খতীব মাওলানা মস্তাক আহমদ খান, বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতীব ও ইমাম ক্বারী মাওলানা মোজাম্মিল হোসেন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা বরকতপুরী বলেন, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ২ শত বৎসর যাবৎ স্বাধীন ও স্বকীয়তার সাথে দ্বীনী শিক্ষা সম্প্রসারণ ও ইসলামের সেবা করে যাচ্ছে। ব্রিটিশও এই শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কোন হস্তক্ষেপ করেনি। এ শিক্ষার উপর কোন হস্তক্ষেপ জাতি বরদাশত করবে না। মাওলানা জালালী বলেন, কওমী মাদ্রাসার উপর হস্তক্ষেপ করা হবে তৌহিদী জনতার হৃদয়ে আঘাত। তৌহিদী জনতার হৃদয়ে আঘাত আনার পরিণাম শুভ হবে না।
মাওলানা সিরাজী বলেন, কওমী শিক্ষার উপর সরকারী হস্তক্ষেপ হলে নাস্তিক ও ইসলাম দ্রোহী শক্তি অনুপ্রবেশের সুযোগ পাবে তা কখনও মেনে নেয়া হবে না। মাওলানা মস্তাক খান বলেন, নিছক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কওমী মাদ্রাসার উপর হস্তক্ষেপ মানেই ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত। কোন ভাবেই তা মেনে নেয়া যায় না।
স্মারকলিপিতে বলা হয় আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবাণীতে এদেশের হাজার হাজার কওমী মাদ্রাসা সরকারের কোন অনুদান ও সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া প্রায় ২শত বছর যাবৎ স্বাধীন, স্বকীয় ও অস্তিত্ব নিয়ে রাজনীতি প্রভাব মুক্ত অবস্থায় পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাউত্তীর্ণ অসংখ্য আলিম উলামা-পীর-মাশায়েখ দেশ, জাতি ও ইসলামের সেবায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে চলেছেন। সরকারী প্রভাব মুক্ত থাকায় ধর্ম তার নিজস্ব আবরণে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। অথচ আপনার সরকার কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ খসড়া আইনের মাধ্যমে ধর্মকে স্বাধীনভাবে চলার পথ রুদ্ধ করে দিতে চাইছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, সিলেবাস ও শিক্ষানীতি সব কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন করার অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। কমিটি গঠন ও যখন তখন বরখাস্ত করণের সুযোগ সরকারের হাতে রেখে কওমী মাদ্রাসা পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে হাতের গুটি বানানোর যাবতীয় ব্যবস্থা নীতিমালায় রাখা হয়েছে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাফিজ মাওলানা ক্বারী আব্দুল মতিন, আলহাজ্ব মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, আব্দুল হান্নান তাপাদার, আলহাজ্ব মাওলানা এমরান আলম, মাওলানা মুহিবুর রহমান, মাওলানা ছামিউর রহমান মুছা, মাওলানা মখলিছুর রহমান, মুফতি মাওলানা রশিদ আহমদ, মাওলানা জাকারিয়া আহমদ, মাওলানা আরিফুল হক ইদ্রিস, হাফিজ জামাল উদ্দিন, মাওলানা আনছার,  মাওলানা নূর ইসলাম, ফাহাদ আমান, মাওলানা আখতার, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা নাছির উদ্দিন, হাফিজ রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন, মাওলানা রেজওয়ান আহমদ, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা ওলিউর রহমান, মাওলানা বদরুল ইসলাম, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা ফয়জুন নূর, মাওলানা কছির আহমদ, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button