বিমানযাত্রায় নতুন আতঙ্ক ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স’
আফ্রিকার সেরা বিমান সংস্থা বলা হয় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি কারণে সারাবিশ্ব জুড়েই রাষ্ট্রীয় এ বিমান সংস্থাটির নামডাক। কিন্তু রবিবার সংস্থাটির বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের একটি বিমান বিধ্বস্থ হয়ে প্রাণ গেলো ১৫৭ জনের।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় বিমান সংস্থা লায়ন এয়ারলাইন্সের আরেকটি বিমান জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ যায় ১৮৯ জনের। এটিও ছিলো বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের। উভয় দুর্ঘটনায় আরও একটি মিল রয়েছে। লায়ন ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স-উভয় সংস্থাই তাদের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমানটি বহরে যুক্ত করেছিলো দুর্ঘটনার চার মাস আগে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাণিজ্যিক বিমানের নাম বোয়িং-৭৩৭। এটিরই সর্বশেষ সংস্করণ ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স’। উৎপাদন শুরুর কিছুদিন পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয় মডেলটি নিয়ে।
গেল ৭ মার্চ মার্কিন সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্স ঘোষণা দেয়, বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের সদ্য কেনা ১৪টি বিমান আর ব্যবহার করবে না তারা। কারণ হিসেবে বলা হয়, এই মডেলের বিমানটির বেশকিছু যন্ত্র ঠিকভাবে বসানো হয়নি। এই ঘোষণার মাত্র ৩ দিন পরই ইথিওপিয়ায় ১৫৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স।
বিবিসিকে এভিয়েশন বিষয়ক সংবাদ সংস্থা ‘ফ্লাইট গ্লোবাল’র গ্রুপ সম্পাদক কিংসলে জোনস বলেন, ‘ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন ছিলো আফ্রিকার মুকুট। সারা বিশ্বের বিমান চালনার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এটির দিকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে তাকায়। এটি এভাবে এত বড় দুর্ঘটনায় পড়া বিস্ময়কর।’