ব্রিটেন কোনো তৃতীয় সুযোগ পাবে না
অনেক দরকষাকষির পর সোমবার গভীর রাতে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত এক বোঝাপড়া হয়েছে। সোমবার প্রায় মাঝরাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে নতুন কিছু আদায় করতে পারলেন। ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটেনের সংসদে ভোটাভুটির কার্যত কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ব্যাকস্টপ সংক্রান্ত সংশয় দূর করার ক্ষেত্রে কিছুটা সাফল্য পেলেন বলা চলে। মূল ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদল না ঘটিয়ে বাড়তি এক নথির মধ্যে ইইউ আইনি আশ্বাস দিয়েছে, যে এই রাষ্ট্রজোট ব্রিটেনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুল্ক এলাকায় ‘বন্দি’ করে রাখতে চায় না। সাময়িক এই ব্যবস্থার বদলে স্থায়ী সমাধানসূত্র অর্জন করাই দুই পক্ষের লক্ষ্য। এমনকি ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা বিফল হলে ব্রিটেন একতরফাভাবে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। তবে সে রকম পরিস্থিতি এড়াতে ব্রেক্সিট পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তরান্বিত করতেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভবনে ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জরুরি আলোচনায় বসেন। আলোচনার পর মে বলেন, নতুন এই নথি অনুযায়ী ইইউ ইচ্ছাকৃতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাকস্টপ প্রয়োগ করতে পারবে না। ইয়ুংকার বলেন, ইইউ নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্রিটেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শেষ করতে চায়। সেইসঙ্গে আইরিশ দ্বীপে শান্তি বজায় রাখাও জরুরি। তবে ইয়ুংকার ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মূল ব্রেক্সিট চুক্তি ও বাড়তি নথির পর সে দেশ তৃতীয় কোনো সুযোগ পাবে না। এমনকি গোটা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।