নিউজিল্যান্ডে মসজিদে গুলি
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা
৫ মিনিট আগে পৌঁছালেই হতো সর্বনাশ
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারী, এই হামলার মধ্যে পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সেখানে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড়। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আল নূর নামের মসজিদে ওই হামলা হয়। আল নূর ছাড়াও হামলা হয়েছে ক্রাইস্টচার্চের আরেকটি মসজিদেও। এতে সব মিলিয়ে ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এটাকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে নিউজল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আডের্ন বলেছেন, এই তাণ্ডবে ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড় হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছে আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। এ সময় ওই হামলার মুখে পড়েন তারা। একজন নারী মসজিদের প্রবেশ মুখে এসে বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের খেলোয়াড়দের সেখানে হামলা হয়েছে জানিয়ে ঢুকতে নিষেধ করেন। সাথে সাথেই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ দলের মসজিদে ঢোকার কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন একটু দেরিতে শেষ হওয়ায় সেখানে যেতে বাজে ১টা ৪০। আর পাঁচ-দশ মিনিট আগে পৌঁছালেও সেই গোলাগুলির মধ্যে পড়ে যেতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশি ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড় নিরাপদে হোটেলে ফিরে এসেছেন।’
ওই ঘটনাকে ‘ভীতিকর অভিজ্ঞতা’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য তামিম ইকবাল। এক টুইট বার্তায় তামিম টুইটে লেখেন, ‘পুরো দল বন্দুকধারীর হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এটা ভীতিকর অভিজ্ঞতা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মসজিদে নামাজ পড়তে ঢুকছিলেন খেলোয়াড়রা; এসময় হামলার ঘটনা ঘটে। তারা নিরাপদে ফিরে আসেন।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে শনিবার বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। তবে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জেরে তা বাতিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি) টুইট করে বিষয়টি জানিয়েছে।