সংস্কার হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন
২৫ ডলারেই অস্ত্রের লাইসেন্স নিউজিল্যান্ডে
মাত্র ২৫ ডলারের বিনিময়েই অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায় নিউজিল্যান্ডে। এছাড়া একজন মানুষ কী পরিমাণ গুলি বা এ সংক্রান্ত সরঞ্জাম কিনতে পারবেন সেই বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই দেশটির আইনে। কোনো লাইসেন্সধারীর কাছে কী রকম আগ্নেয়াস্ত্র আছে জাতীয় রেজিস্টারে তার কোনো হিসেবও নেই। কোনো বিদেশি যদি অস্ত্রের লাইসেন্স নিতে চান তবে বিমানবন্দর পুলিশকে শুধু দেখাতে হবে তার নিজের দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে। এ ক্ষেত্রে আর কোনো কাগজপত্রের দরকার করা হয় না। একজন মানুষ কেন আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে চান সেই বিষয়েও কোনো জিজ্ঞাসা থাকে না।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডের্ন বলেছেন ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা সেদেশের অস্ত্র আইন সংস্কারে ‘নীতিগত’ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে হামলার পর ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন টারান্টকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঐ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন সংস্কারের বিষয়টি আলোচনায় আসে। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী আর্ডেন বলেছিলেন, “আমাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তিত হবে।”
অাজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে আর্ডেন আশা প্রকাশ করেন, অস্ত্র আইন সংস্কারের বিস্তারিত ২৫ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করতে পারবেন তিনি। “এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ঐ সন্ত্রাসবাদী ঘটনার ১০ দিনের মধ্যে আমরা আমাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা করবো যা আমাদের (নিউজিল্যান্ডের মানুষকে) নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”
হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট একটি সেমি অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। হামলাকারী যে ধরণের সেমি অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল, আশা করা হচ্ছে, দেশটির মন্ত্রী পরিষদ সে ধরণের অস্ত্রের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ঘটনার পরে পুলিশ জানায়, টারান্টের অস্ত্রটি বৈধ, যে কারণে তার গুলি কিনতেও অসুবিধা হয়নি। সেদিনই বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এর আগে কয়েকবারই অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতে চাইলেও সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার এই ভয়াবহ ঘটনার পর তড়িঘড়ি আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।